সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন
শফিকুল ইসলাম,বানারীপাড়াঃ বানারীপাড়ার মাদারকাঠি গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকটি দিনের পর দিন বন্ধ থাকায় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকাবাসী। সরেজমিনে তদন্তে গিয়ে দেখা যায়,উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের মাদারকাঠী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মাদারকাঠি কমিউনিটি ক্লিনিকটি বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ১০ মিনিটের সময় তালাবদ্ধ। চিকিৎসা সেবা নিতে আসা কয়েকজন রোগী ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে আছে ওই ক্লিনিকের দায়িত্বরত এইচ এ সাদিয়া আফরিনের আসার অপেক্ষায়। খোজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘ ৫/৬ দিন ধরেই তালা বদ্ধ অবস্থায় রয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিকটি। প্রতিনিয়ত রোগীরা এসে অপেক্ষা করে সেবা না পেয়ে ফিরে যায়। এলাকাবাসী জানায় ক্লিনিকটি মাসের মধ্যে প্রায় ১৫ দিনই বন্ধ থাকে। মাঝে মাঝে খুললেও ১২ টার মধ্যে তালা বন্ধ করে তারা চলে যায়। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৯ টায় অফিস খোলা এবং দুপুর ৩ টায় বন্ধের নিয়ম থাকলেও নিয়মের তোয়াক্কা করেন না ঐ কমিউনিটি ক্লিনিকটির দায়িত্বে থাকা এইচ এ সাদিয়া আফরিন । এক ঝাল মুড়ি বিক্রেতা বলেন, তিনি গত দুই দিন ধরে সেখানে মুড়ি বিক্রি করলেও অফিস খোলা দেখেন নি। উপস্থিত স্থানীয়রা জানান অফিস প্রায়ই বন্ধ থাকায় চিকিৎসা বা ওষুধের জন্য তাদেরকে বানারীপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসতে হয়। তারা আরো বলেন রোগীদের কাছ থেকে ওষুধের জন্য ১০/২০ টাকা করে নেয়া হয়।সাদিয়া আফরিনকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান তার সন্তান অসুস্হ থাকায় তিনি বানারীপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আছেন এবং ১২ টার সময় তিনি ক্লিনিক থেকে চলে গেছেন। সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে স্থানীয় এক বয়স্ক মহিলা সেখানে উপস্থিত হয়ে জানান যে,তার কাছে ঐ ক্লিনিকের চাবী থাকে অথচ তিনি কমিউনিটি ক্লিনিকের কোন কর্মচারী নন। তিনি স্বীকার করেন বেশ কিছুদিন যাবৎ ক্লিনিকটি খোলা হয় না। তার এবং এলাকাবাসীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মাদারকাঠি কমিউনিটি ক্লিনিকটি শুধু নামেই ক্লিনিক হিসাবে আছে। অন্যদিকে সরকারী একটি প্রতিষ্ঠানের চাবি বাহিরের একজন মানুষের কাছে থাকা কতটা আইনসিদ্ধ সেটাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে দাড়িয়েছে। হাসিনা সরকারের পতনের পরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এমনটা করা হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যাবস্থা গ্রহন করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো: ফখরুল ইসলাম জানান,ক্লিনিকে যারা আছেন তাদের কিছু সমস্যা এবং স্বেচ্ছাচারিতা রয়েছে তবে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।এছাড়াও উপজেলার অন্যান্য কিমিউনিটি ক্লিনিকে দায়িত্বরত যারা আছেন তারাও সঠিকভাবে ক্লিনিকের দায়িত্ব পালন করে না বলে বিভিন্ন এলাকার মানুষের অভিযোগ রয়েছে।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply