শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৯ অপরাহ্ন
মাইদুল ইসলাম শফিক,বানারীপাড়াঃ বরিশালের বানারীপাড়ায় চাউলাকাঠী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এমচে জলিলের বিরুদ্দ্বে তার পদত্যাগপত্র নিয়ে মিথ্যা প্রচারনার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষের পদ শূন্য হওয়ায় গত ৩১ডিসেম্বর বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও মাদ্রাসার সভাপতি মহোদয় ওই মাদ্রাসার বাংলা প্রভাষক এম.এম.এ জলিল-কে অস্থায়ীভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করেন। কিন্তু তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করার পূর্বেই স্বাস্থ্যগত অসুস্থতার কারন দেখিয়ে দায়িত্বভার গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়ে গত ১ জানুয়ারী বুধবার স্বেচ্ছায় স্বহস্তে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে সভাপতি বরাবরে পদত্যাগপত্র লিখে জমা দেন। এ সময় মাদ্রাসার সকল শিক্ষক, সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাও: ফজলুর রহমান, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ একাধিক সংবাদ কর্মী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু গত ৩ জানুয়ারি শুক্রবার ওই মাদ্রাসার দূর্নীতিবাজখ্যাত সাবেক অধ্যক্ষ উপজেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাও: মোঃ আঃ হাইয়ান ও তার ভাই নারী কেলেঙ্কারীতে অভিযুক্ত ফ্যাসিবাদের প্রতক্ষ দোসর মলুহার ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও. মোঃ মিজানুর রহমান এবং স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আঃ কুদ্দুস গংদের প্ররোচনায় প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে তার স্বেচ্ছায় দেয়া পদত্যাগপত্র-কে অস্বীকার করে বরিশালের স্থানীয় গনমাধ্যমের সাংবাদিকদের সাক্ষাতকার দেন।
এমন মিথ্যা সাক্ষাৎকারে ফ্যাসিবাদের দোসর এম.এম.এ জলিল এর বিরুদ্দ্বে শিক্ষক, অভিভাবক, ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। এম এ জলিলের বিরুদ্দ্বে সরাসরি ফ্যাসিবাদের দোসরদের সাথে সম্পৃক্ততা ও ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আওয়ামী দোসরদের পক্ষ নিয়ে উস্কানিমূলক কথা-বার্তা এমনকি তার বিরদ্দ্বে মাদ্রসায় সবসময় অশ্লীল ও ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্যের অভিযোগ রয়েছে। এমনকি বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন জাতীয় দিবসে উপস্থিত থেকে ফ্যাসিস্টদের দোসর হিসেবে তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান,সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, জামায়াত নেতা মাওলানা দোলোয়ার হোসেন সাঈদী সম্পর্কে বিষদগার ও উষ্কানী মূলক বক্তব্য দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এমনকি জুলাই এর গণঅভূথ্যানের ছাত্র জনতা ও সমন্বয়ক এমনকি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড: মুহাম্মদ ইউনুস’র বিরুদ্ধে অহরহ কটুক্তি ও করছেন বলে ও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ফ্যাসিবাদের এই দোসরকে ওই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করায় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী,অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। তারা সকলেই এ ব্যাপারে উর্ধাতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply