কলাপাড়ায় মরা খালে দ-খলদারের ছোবল | আপন নিউজ

শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৩ অপরাহ্ন

প্রধান সংবাদ
বাংলাদেশ আন্তঃজিলা ট্রাক কভার্ডভ্যান মিনিট্রাক চালক শ্রমিক ইউনিয়নের কলাপাড়ায় কমিটি গঠন কলাপাড়ায় কৃষিজমি কাটার অপরাধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে কারাদণ্ড ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কলাপাড়া উপজেলা শাখার নতুন কমিটি গঠন কলাপাড়ায় বাংলাদেশ প্রতিদিন’র প্রতিষ্ঠাবার্ষীকী উদযাপিত আমতলীতে ছাত্রদল সম্পাদকের বি-রুদ্ধে ছাত্রলীগ নেত্রীর ধ-র্ষ-ণচেষ্টা মা-ম’লা’র প্র-তিবা’দে মা-ন’ব’ব’ন্ধ’ন আমতলীতে সাড়ে ১৭ হাজার পরিবার পেলো বিশেষ ভিজিএফ চাল কলাপাড়ায় দক্ষিণবঙ্গ অবসরপ্রাপ্ত সেনা ঐক্য সমবায় সমিতির উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল কলাপাড়ায় জানালার গ্রিল কেটে চু-রি’র ঘটনায় ২১ লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ লু-ট আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনের পুনর্বাসন ঘর দ্রুত হস্তান্তরের দাবিতে মা-নব’বন্ধ’ন বানারীপাড়ায় পুলিশের অভিযানে গাঁ-জা’র গাছ সহ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রে-ফ’তা’র
কলাপাড়ায় মরা খালে দ-খলদারের ছোবল

কলাপাড়ায় মরা খালে দ-খলদারের ছোবল

রিপোর্টমেজবাহউদ্দিন মাননুঃ এবার মরা খালে দখলদারের ছোবল পড়েছে। চলছে বসতবাড়িসহ পুকুর করার কাজ। উপজেলার গামৈরতলা গ্রামের দৃশ্য এটি। এখনও বর্ষাকালে কোমর সমান পানি থাকে খালটিতে। স্থানীয়ভাবে কেউ এ খালের নাম জানেন না। তবে পাখিমারার খালের সঙ্গে সংযোগ ছিল এক সময়। কলাপাড়া-কুয়াকাটা সড়ক নির্মাণে খালটির পানির প্রবাহ থমকে যায়। তবে এখনও রাস্তার দুইদিকে থাকা খালের অংশ দিয়ে বর্ষায় বিলের পানি ওঠানামা করছে খালটি দিয়ে। কিন্তু এখন খালটি নিশ্চিহ্নের শঙ্কায় পড়েছে। বলতে গেলে খালটির মৃত্যুর শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

খালপাড়ের বাসীন্দা হানিফ তালুকদার জানান, পাখিমারার খালের সঙ্গে ডলমুইয়া খালের সংযোগ ছিল এ খালটির। নেয়ামতপুর গ্রামের দিকের অংশ ভরাট হয়ে বিলের কৃষি জমির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। বাকি গামইরতলার অংশ যতটুকু রয়েছে সেখানে এখনও বর্ষায় কোমর সমান পানি থাকে। বিলের পানি ওঠা-নামা করে। কৃষি কাজের জন্য এটি রক্ষা করা প্রয়োজন। স্থানীয়দের দাবি প্রথমত রাস্তা করায় এ খালটির পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপরে ইসলামপুর গ্রামের হাবিব গাজীর নামে চাষযোগ্য কৃষি জমি দেখিয়ে রাস্তার দুই পাশ দিয়ে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। তখন প্রবহমান খাল ছিল। ভূমি অফিস প্রথম দায়ী খালটি নষ্ট করার জন্য। বন্দোবস্তগ্রহীতা এতকাল চুপচাপ ছিলেন। এখন ভরাট করছেন। করছেন বাড়িঘর। স্থানীয়দের দাবি খালটি রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হোক।

অভিযুক্ত হাবিব গাজী জানান, তিনি ২৭-২৮ বছর আগে দেড় একরের কার্ডে (বন্দোবস্ত) খালের এ জমির মালিক হয়েছেন। আর পানি চলাচলে কোন সমস্যা হবে না বলেও দাবি করেন। তবে ২৭-২৮ বছর আগে পানিতে পরিপূর্ণ থাকা খালকে কীভাবে চাষযোগ্য কৃষি জমি দেখিয়ে বন্দোবস্ত নিয়েছেন- এমন প্রশ্নের কোন উত্তর দেননি।

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আরাফাত হোসেন জানান, সরকারি খাল দখল-ভরাট কোন ক্রমেই গ্রহনযোগ্য নয়। খাল না থাকলে কৃষি উৎপাদন ভয়াবহ সংকটে পড়বে। এটি প্রতিরোধ করতে হবে। তিনি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনী পদক্ষেপ নিবেন বলে জানান।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম জানান, তিনি সরেজমিনে গিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন। খাল রক্ষায় বাঁধ অপসারণে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অন্যায়ভাবে খাল কিংবা খাস জমি দখলের সুযোগ নেই। তিনি গণমাধ্যমের সহযোগিতা চেয়েছেন।

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com

Design By JPHostBD
error: সাইটের কোন তথ্য কপি করা নিষেধ!!