শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন
মোঃ জসীম উদ্দীন,বেনাপোলঃ
ভারত প্রত্যাগত সকল যাত্রীকে বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান নিশ্চিত করতে না পারলে করোনা ভাইরাস মুক্ত করা যাবে না বেনাপোল কে। পাশাপাশি ভাইরাস প্রতিরোধে পর্যাপ্ত উপকরণাদির সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। দেশের মধ্যে অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ বেনাপোল বন্দর রয়েছে এখনও অরক্ষিত। যাত্রী এবং পণ্যবাহী ট্রাকের চালক ও হেলপার দের হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হলেও তা ফলপ্রসূ হচ্ছে বলে মনে করেন না স্বাস্থ্যকর্মীরা। যাত্রী এবং চালক ও সহকারীদের প্রত্যেককে মাস্ক প্রদান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার এবং বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইন করা না হলে করোনা প্রতিরোধ ব্যবস্থা মুখ থুবরে পড়বে। চেকপোষ্টে কর্মরত চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের কে দেওয়া হয়নি পর্যাপ্ত হ্যান্ড গ্লাভস ফলে এক্ষেত্রেও ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম।
বেনাপোল চেকপোস্টে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সমন্বয়ক উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক ডাঃ মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, বিমানবন্দরের মতো বেনাপোল চেকপোস্ট ব্যবহারকারীকে সেনাবাহিনী তত্ত্বাবধানে বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইন করতে হবে। ভারত ফেরত প্রত্যেক যাত্রী কে মৌখিকভাবে নিজ বাড়িতে অবস্থান এর অনুরোধ জানানো হচ্ছে। বাড়িতে ফিরে তারা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকছে কিনা এটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। প্রতিদিন ভারত থেকে প্রায় ৪ হাজার যাত্রী এবং পণ্যবাহী ট্রাকের চালক ও সহকারী এক হাজার জন বাংলাদেশে আসছে।
এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত জনবল এবং উপকরণের নিশ্চিত করা না গেলে সব ভেস্তে যাবে বলে মনে করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। তিনি জানান ভারত সহ বিদেশ প্রত্যাগত ১৩৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মীরা তাদের দেখভাল করছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পঁচিশটি কোয়ারেন্টাইন সিট ও দশটি আইসোলেশন সিটের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রয়োজনে সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে।
করোনা ভাইরাস নিয়ে কথা বলেন বেনাপোল কাস্টমস এর অতিরিক্ত কমিশনার ডক্টর নিয়ামুল ইসলাম। তিনি বলেন, যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য চেকপোষ্টে চিকিৎসা উপকরণাদি মজুত নিশ্চিতের পাশাপাশি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক শনাক্তকরণের একটি উন্নত মানের ল্যাব স্থাপন করা যেতে পারে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ্ব মফিজুর রহমান সজন বলেন, করোনা ভাইরাসে দেশবাসী আতঙ্কে বহিরাগতদের দেশে আসা বন্ধ না করলে সংক্রমণ ব্যাধি আরো ছড়াতে পাওে, সে ক্ষেত্রে তিনি ৩১ মার্চ পর্যন্ত বেনাপোল চেকপোস্ট লকডাউন করা হবে বলে তিনি জানান।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply