বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০৪ অপরাহ্ন
বিশেষ আপন নিউজ প্রতিবেদকঃ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় করোনা সংক্রমন এড়াতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরন ও লকডাউন কার্যকর করতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। অযৌক্তিক বাড়ীর বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত রাখতে শহর থেকে গ্রামীন হাট বাজার গুলোতে পুলিশ, সেনা সদস্যরা হ্যান্ড মাইকে প্রচারনা চালাচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি টহল জোরদার করেছে সেনা সদস্যরা।
এমনকি সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার পৌরশহর সহ গ্রামীন জনপদে বাড়ীর বাইরে অযৌক্তিক বের হওয়াদের লাঠি চার্জ করেছে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা। আর এ লাঠি চার্জ থেকে বাদ পড়েনি কর্মজীবী নারীও।
করোনা সংক্রমন এড়াতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে দেশ জুড়ে লকডাউন চলমান থাকার পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন থেকে বারবার মাইকিং করে জন সচেতনতামূলক প্রচারনা অব্যাহত রয়েছে। এরপরও যখন শহর কিংবা গ্রামীন হাট বাজার গুলোতে মানুষের অযৌক্তিক ঘোরা ঘুরি বন্ধ হচ্ছিলনা তখন বৃহস্পতিবার থেকে প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সকালে পুলিশ সদস্যরা অযৌক্তিক ঘোরাঘুরি রুখতে বেল্লাল (৪০) নামের একজন সহ বেশ কয়েকজনকে লাঠি চার্জ করেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র। অপরদিকে সরকারী ছুটি বাড়ানোর পরও উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য বিভাগের এক নারী পরিদর্শক তার অধীনস্ত স্বাস্থ্য সহকারীদের টিকা কার্যক্রম পরিদর্শনে যাওয়ার প্রাক্কালে সেনা
সদস্যের সামনে পড়েন। এসময় তিনি তার পরিচয় দেয়ার পূর্বেই লাঠি চার্জের কবলে পড়েন। এতে তার ব্যবহৃত মুঠো ফোনটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এদিকে গ্রামীন হাটবাজারে লোক সমাগম রুখতে মাঠে নেমেছে ভ্রাম্যমান আদালত। বৃহস্পতিবার মহিপুর সাপ্তাহিক হাটে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জগৎ বন্ধু
মন্ডল জনসমাগম বন্ধ করতে নির্দেশনা প্রদান করেন। এসময় পার্টস-মবিলের এক দোকানীকে আর্থিক দন্ড প্রদান করেন তিনি।
কলাপাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চিন্ময় হাওলাদার তার অধীনস্ত নারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকের লাঠি চার্জের কবলে পড়ার ঘটনা জানা নেই বলে জানান, উপরের নির্দেশনা আছে টীকা কার্যক্রম চালু রাখার। স্বাস্থ্য কর্মীকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সাথে সমন্বয় করে টীকা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে। করোনা পরিস্থিতিতে বাড়ীর বাইরে কেউ বের না হলেও টীকা কার্যক্রম চলমান থাকবে। নিরাপত্তার জন্য স্বাস্থ্য কর্মীদের অফিস থেকে পরিচয় পত্র নিতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু সন্দেহে পটুয়াখালীর টাউন কালিকাপুর মাতবর বাড়ি এলাকায় ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ ও বরিশাল মেডিকেলে গলাচিপার মাঝ বয়সি ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আইইডিসিআর থেকে নেগেটিভ এসেছে। এর আগে পটুয়াখালী শহরে বিদেশ ফেরত এক নারীর ও মৌকরনে আরেক পুরুষের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর এ প্রেরন করা হয়েছিলো। ওই দু’টিও নেগেটিভ এসেছিলো। নোমান নামের একজনের নমুনা বরিশাল থেকে প্রেরন করা হয়েছিল। সেও কোয়ারেন্টাইন মুক্ত হয়ে বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। আশা করছি তার রিপোর্টও নেগিটিভ আসবে।
সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আরও বলেন, এখন পর্যন্ত পটুয়াখালীতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের কোন তথ্য নেই। পটুয়াখালীতে এ পর্যন্ত ৭২৫জনকে হোম
কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। যার মধ্যে থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে ৬৮৪ জন।
বর্তমানে ৪১ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply