শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২২ পূর্বাহ্ন
আমতলী প্রতিনিধিঃ
ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর প্রহর গুরছে কোমড়ে বিশাল আকৃতির টিউমার নিয়ে দুই মাসের শিশু সানাউল। শিশুটির ব্যথায় ছটফট করছে। শিশুটিকে বাঁচানোর জন্য দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু টাকার অভাবে দরিদ্র বাবা রিয়াজ শরীফের পক্ষে চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। তাই প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশের দানশীল ব্যাক্তিদের কাছে সহযোগীতা কামনা করেছেন বাবা রিয়াজ শরীফ ও মা শাহনাজ আক্তার। ঘটনা বরগুনার তালতলী উপজেলার পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের মনশাতলী গ্রামে।
জানাগেছে, উপজেলার মনশাতলী গ্রামে রিয়াজ শরীফ ও শাহানাজ আক্তার দম্পতির গত ২ অক্টোবর বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে কোল জুড়ে আসে এক ফুটফুটে শিশু সন্তান। নাম রাখা হয় সানাউল শরীফ। শিশু সানাউল জন্ম নেয়ার পরেই ওই দম্পতির আনন্দের পরিবর্তে নেমে আসে অন্ধকার। জন্মগত ভাবেই শিশুটির কোপড়ে একটি টিউমার দেখা যায়। প্রথমে কেউ কিছু বুঝে উঠতে পারেনি। ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা টিউমার দেখে শিশুটির চিকিৎসায় অপরগতা প্রকাশ করে। তারা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়। চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ৮ অক্টোবর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা টিউমারটি অপারেশনের পরামর্শ দেয়। অকেন টাকা প্রয়োজন হবে বলে জানান ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা। টাকার অভাবে চিকিৎসা না করিয়ে দুইদিন পরে ওই হাসপাতাল থেকে বাড়ীতে ফিরে আসেন। গত দুই মাসে টিউমারটি বড় হয়ে তিন কেজি ওজনের আকার ধারন করেছে। টিউমারের উপরে দগদগে লালচে আকার ধারন করেছে। মরণ যন্ত্রনায় শিশুটি ছটফট করছে। ধুকে ধুকে শিশুটি মৃত্যুর প্রহর গুনছে। বাবা রিয়াজ শরীফ দিন মজুর। মা শাহানাজ আক্তার অন্যের বাড়ীকে ঝিয়ের কাজ করে। সহায় সম্ভব বলতে ওই দম্পতির বসত ভিটা ছাড়া আর কিছুই নেই। শিশুটিকে বাঁচাতে হলে দ্রুত উন্নত চিকিৎসা করানো প্রয়োজন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন শিশুটির চিকিৎসা করাতে প্রায় তিন লক্ষ টাকার দরকার। কিন্তু দরিদ্র বাবার পক্ষে এতো টাকা খরচ করে শিশুটির চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। চিকিৎসার টাকার জন্য ্ওই দম্পতি বিভিন্ন মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। তিন লক্ষ টাকা হলে দরিদ্র বাবার ওই শিশুটি বেচে যেতে পারে। তাই শিশুর বাঁচানোর জন্য বাবা ও মা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশের দানশীল ব্যক্তিদের কাছে সহযোগীতা চেয়েছেন। সহযোগীতা পাঠানোর বিকাশ নম্বর- (০১৭৭৫৩৬১৯৩৩)।
শিশু সানাউলের মা শাহনাজ বেগম কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, “মোর একটা মাত্র পোলা। পেলাডা টিউমার নিয়া জন্ম নেছে। মোর কোন টাহা নাই, কিদ্দা মুই মোর পোলাডারে ডাক্তার দ্যাহামু। আপনেরা মোর পেলাডারে বাঁচান। সারা দিন মোর পোলাডায় কান্দে। মুই সহ্য হরতে পারিনা।
শিশু সানাউলের বাবা রিয়াজ শরীফ বলেন, শিশুটি জন্মগতভাবেই টিউমারটি হয়। টিউমারটি দিন দিন বড় হচ্ছে। টাকার অভাবে ঢাকায় চিকিৎসা করাতে নিয়েও ফিরে এসেছি। চিকিৎসকরা বলেছে প্রায় তিন লক্ষ টাকার প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশের দানশীল ব্যাক্তিদের কাছে সহযোগীতার কামনা করছি।
আপনাদের সহযোগীতায় আমার ছেলের জীবন বেঁচে যেতে পারে।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply