আমতলী প্রতিনিধিঃ
বরগুনার আমতলী উপজেলা লকডাউন ঘোষনায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। এতে সবজি নিয়ে বিপাকে পরেছে উপজেলার কাউনিয়া গ্রামের সবজি চাষীরা। শুক্রবার গভীর রাতে সবজি নিয়ে পটুয়াখালী যাওয়ার পথে শাখারিয়া চেকপোষ্টে তাদের সবজির গাড়ী আটকে দেয় পুলিশ। ফলে প্রায় অর্ধলক্ষাধীক টাকার সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। পরে চাষীরা সবজি রাস্তায় ফেলে রেখে দিয়েছেন। কৃষকরা সবজি সরকারের মাধ্যমে বাজারজাত করনের দাবী জানান।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের কাউনিয়া গ্রামে ত্রিশজন কৃষক সবজি চাষ করে আসছে। তাদের প্রধান কাজই সবজি চাষ করা। পুরো বছরেই তারা সবজি চাষ করে জীবন জিবিকা নির্বাহ করে থাকেন। ওই গ্রামের সবজি চাষিরা তাদের উৎপাদিত সবজি প্রতিদিন গভীর রাতে সড়ক পথে পটুয়াখালীতে নিয়ে যায়। শুক্রবার গভীর রাতে সবজি চাষী মোঃ কালাম সিকদার, শাহজাহান সিকদার, লাল মিয়া মোল্লা, সোনা মিয়া মৃধা, বজলু কাজী ও ইউনুচ সরদার দুইটি টমটমে করে অন্তত ৪৫ মণ সবজি (জিঙ্গা, শসা, টমেটো, মিনা, রেখা,করলা ও লাভা) নিয়ে পটুয়াখালী যাচ্ছিল। পথিমধ্যে আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের শাখারিয়া নামক স্থানে লকডাউনে পুলিশের দেয়া চেক পোষ্টে তাদের সবজির গাড়ী আটকে দেয়। বহু অনুনয় বিনয় করেও রক্ষা পায়নি তারা বলে জানান শাহজাহান সিকদার ও ইউনুচ সরদার। পরে তারা ওই সবজি নিয়ে এলাকায় ফিরে আসেন এবং শনিবার সকালে সড়কে ফেলে দেয়। স্থানীয়রা ওই সবজি তুলে নেন। কৃষকরা সবজি সরকারের কাছে বাজারজাত করনের দাবী জানান।
সবজি চাষী কালাম সিকদার বলেন, ছয়জন চাষী দুইটি টমটমে করে ৪৫ মণ সবজি পটয়াখালী নিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু শাখারিয়া পুলিশের চেক পোষ্ট আমাদের আটকে দেয়। আমরা ফিরে এসে ওই সবজিগুলো এলাকায় সড়কে ফেলে দেয়। স্থানীয়রা ওই সবজিগুলো ইচ্ছামত তুলে নিয়েছে। তিনি আরো বলেন এ সবজিগুলো সরকারের কাছে বাজারজাত করনের দাবী জানাই।
এ বিষয়ে আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম বলেন, কৃষকের সবজি নিয়ে পুলিশ পটুয়াখালী যেতে দেয়নি, শাখারিয়া চেক পোষ্টে আটকে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমি পুলিশের কাছে অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু পুলিশ শুনেনি। পরে ওই সবজি কৃষকরা ফেলে দিয়েছে।
Leave a Reply