শনিবার, ০৩ Jun ২০২৩, ০৭:০৯ পূর্বাহ্ন
গোফরান পলাশঃ
দুর্গম চরাঞ্চলে এখনও ত্রান পৌঁছেনি বিষয়ক তথ্য
গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপচরে নৌকায় করে খাবার নিয়ে গেলেন ইউএনও।
বুধবার বিকেলে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ‘চরকাশেম’ এলাকায় খাবার সামগ্রী নিয়ে যান রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান। সেখানকার শতাধিক পরিবারের মাঝে এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। দুস্থদের ১০ কেজি চাল, ৩ কেজি আলু, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি পিঁয়াজ ও ১ লিটার সোয়াবিন তেল দেয়া হয়।
জানাগেছে, রাঙ্গাবালী উপজেলায়- চরকাশেম, চরনজীর, চরআন্ডা ও কলাগাছিয়া নামের বিচ্ছিন্ন ৪টি দ্বীপচর রয়েছে। যেখানে সড়ক পথে কোন যোগাযোগ নেই।
অনেকের কাছে এই চরগুলোর নাম অজনা। সেখানে যেতে হয় নৌকা অথবা ট্রলারে করে।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ওই দ্বীগগুলোর নিম্ন আয়ের মানুষ প্রায় এক মাস যাবৎ কর্মহীন। যারা সকলেই জেলে অথবা দিনমুজুর। লকডাউনে তারা দ্বীপের মধ্যে আটকা পড়েছিল। অনেক পরিবার না খেয়ে অনাহারে ছিল। পরে বিষয়টি স্থানীয়
সংবাদকর্মীরা বিভিন্ন গনমাধ্যমে তুলে ধরেন। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নজরে পড়লে, তিনি খাদ্য নিয়ে ছুঁটে যান ওই দ্বীপে।
রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান জানান, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে কর্মহীনদের ত্রাণ দেয়ার জন্য রাঙ্গাবালীতে ৯০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্ধ হয়েছে। যা সকল ইউনিয়নে জনসংখ্যা হারে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। হয়তো বরাদ্ধ কম হওয়ার কারণে জনপ্রতিনিধিরা দ্বীপচরে পৌঁছাতে পারেনি। তবে আমি যখন বিষয়টি গনমাধ্যমে দেখেছি তখন আমি নিজেই সেখানে খাবার পৌঁছে দিয়েছি।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply