আমতলী প্রতিনিধিঃ
বরগুনার তালতলীতে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার নামে গৃহবধুকে ধর্ষণকারী ধর্ষক ইউপি সদস্য আনোয়ার খানকে মামলার ১৯ দিনেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। উল্টো আসামী আনোয়ার খান মামলা তুলে নিতে বাদী ও তার পরিবারকে জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে এমন অভিযোগ বাদীর। ধর্ষণের মেডিকেল প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত আসামীকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে জানান ওসি কামরুজ্জামান মিয়া।
জানাগেছে, প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাবে উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের পূর্ব বাদুরগাছা এলাকার দিনমজুর সোবাহান কর্মহীন হয়ে পড়ে। এতে খাদ্য সংঙ্কটে পড়ে তার পরিবার। গত ৫ এপ্রিল এ বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ আনোয়ার হোসেন খাঁনকে জানায় কর্মহীন সোবাহান। ইউপি সদস্য তাকে সরকারী খাদ্য সহায়তার অন্তর্ভূক্ত করার আশ্বাস দেন এবং তার মেয়েকে জাতীয় পরিচয় পত্র নিয়ে আসতে বলেন। ইউপি সদস্যের কথামত ৬ এপ্রিল বিকেলে ঐ দিনমজুর সোবাহানের বিবাহিত কন্যা ইউপি সদস্যের বাড়িতে জাতীয় পরিচয় পত্র নিয়ে যায়। ওই সময়ে ইউপি সদস্যের বাড়ীতে কেউ ছিল না। সুযোগ বুঝে ইউপি সদস্য তাকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় গত ৮ এপ্রিল বিকেলে ওই মেয়ের স্বামীকে তার বাড়ী থেকে ইউপি সদস্যের লোকজন তুলে নিয়ে যান এবং পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ওইদিন রাতে ধর্ষণের শিকার মেয়েটি ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের বিরুদ্ধে তালতলী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। মামলার ১৯ দিনেও আসামী ইউপি সদস্য আনোয়ার খানকে গ্রেফতার করেত পারেনি পুলিশ। আসামী আনোয়ার খান এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুড়ে বেড়াচ্ছেন এবং বাদী ও তার পরিবারকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে। বাদী অভিযোগ করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মোঃ ফরিদুল ইসলাম আসামীর পক্ষ নিয়ে বাদী ও তার স্বামী ই¯্রাফিলকে ভয় দেখাচ্ছেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমি বাদীকে কোনো প্রকার হুমকি দেয়নি। আর আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান মিয়া বলেন,ধর্ষণের মেডিকেল প্রতিবেদন আসলেই আসামীকে গ্রেফতার করা হবে। মামলা তদন্ত কাজ চলমান আছে।
Leave a Reply