শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩০ অপরাহ্ন
আপন নিউজ ডেস্কঃ
কলাপাড়ায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের কোন বালাই নেই। নেই নিশ্চিতে কোন কার্যক্রম। সাধারণ মানুষের অসচেতনতা আর জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের উদাসীনতায় করোনা থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্য বিভাগের মূল পরামর্শ ঘরবন্দী ও সামাজিক দূরত্ব বাজায় রেখে চলাচল করার কোন পদক্ষেপ যথাযথ বাস্তবায়ন হয়নি। এসব কার্যকর করতে উপজেলা প্রশাসন কলাপাড়ার সাপ্তাহিক হাট-বাজার পর্যন্ত বন্ধ করেছে। কিন্তু হাঁট-বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি, করোনা প্রতিরোধ কমিটি সরকারের নির্দেশনা পালনে নেই আন্তরিক। অসচেতন সাধারণ মানুষ এখন গিজ গিজ করছে ত্রাণ নিতে কিংবা সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিসহ ১০ টাকা মূল্যের রেশন কার্ডের চাল নিতে। এসব চাল বিক্রির ডিলাররাও কোন শৃঙ্খলা কিংবা পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন না। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণে তালিকা অনুসারে তিনদিনে তিনভাগ কিংবা এলাকা হিসেবে ভাগ করে দিলে মানুষের উপচেপড়া ভিড় থাকতনা। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে উপজেলা প্রশাসন অসংখ্য মোবাইল কোর্ট করেছেন। কিন্তু এর সুফল মেলেনি। অথচ করোনা প্রতিরোধে উপজেলা, ইউনিয়ন এমনকি ওয়ার্ড পর্যায়ে পর্যন্ত কমিটি গঠণ করা হয়েছে।
বর্তমানে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের বিষয়টি মানুষের মাথা থেকে যেন উবে গেছে। এমনকি বহু মানুষকে রাস্তাঘাটে মাস্ক ছাড়াই চলাচল করতে দেখা গেছে। এযেন এক ভয়াবহ অতঙ্কের শঙ্কা বইয়ে আনছে এসব উদাসীন মানুষ। গণমাধ্যমকর্মীদেরকে কতিপয় সচেতন মানুষ ফোন করে এসব জানায়। কিংবা অসংখ্য ভিড়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করছে। কিন্তু এসব বন্ধে কিংবা নিয়ন্ত্রণে কারও কোন পদক্ষেপ এখন আর কলাপাড়ায় নেই। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে কলাপাড়ার জনপদ। আর এ কারণে করোনা শঙ্কা ক্রমশ বাড়ছে। প্রায় তিন লাখ মানুষ অধ্যুষিত কলাপাড়ায় স্বাস্থ্য সোমবার পর্যন্ত ৩৭ জনের করেনার নমুনা পরীক্ষা করেছেন। এর মধ্যে ১৯ জনের রিপোর্ট পেয়েছেন। সব নেগেটিভ। বাকিদের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। তবে বরিশালে ভর্তি হওয়া কলাপাড়ার পাটুয়া গ্রামের এক নারী করোনা সংক্রমিত হওয়ার খবর মিলেছে। তার দুই শিশু সন্তান এখন বাড়িতে রয়েছে। ওই বাড়িসহ গ্রাম লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। এছাড়া শিশু দু’টির নমুনা সংগ্রহের উদ্যোগের কথা জানালেন উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক ডাঃ চিন্ময় হাওলাদার।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply