
আপন নিউজ ডেস্কঃ
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী এবং জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন কলাপাড়া উপজেলা সদরের খেপুপাড়া নেছারুদ্দিন ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. নাছির উদ্দিন। এ মাদ্রাসা শিক্ষক তাঁর নিজের আইডি থেকে গত ১৭ এপ্রিল সকাল ১০ টা ৪৯ মিনিটে এ ভিডিওটি শেয়ার করেন।
‘হঠাৎ সারা দেশব্যাপী খুশির বণ্যা। আগামীকাল মুক্তি পাচ্ছেন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী’ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নাছির উদ্দিনের ফেসবুক আইডিতে এ শিরোনামের ছিল ভিডিওটি। শেয়ার করা ভিডিওটি দেখে পাঁচ জন সহমত পোষণ করে মন্তব্য লিখেছেন। এ ছাড়া ২২ জন ব্যক্তি ভিডিওটিতে লাইক দিয়েছেন।
তিনি যে ভিডিওটি শেয়ার দিয়েছিলেন তার স্কিন শর্ট দেয়া কপি প্রমান হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এ নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হলে ভিডিওটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ তাঁর আইডি থেকে সরিয়ে ফেলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নাছির উদ্দিন গত বছরের ৩০ নভেম্বর খেপুপাড়া নেছারুদ্দিন ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর তিনি নবনিযুক্ত অধ্যক্ষের পদে ১ ডিসেম্বর যোগদান করেন। এর আগে তিনি আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের কুতুবপুর ফাজিল মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সরকারি বেতনভূক্ত একজন মাদ্রাসা শিক্ষকের দ্বারা জামায়াতের বিতর্কিত নেতার ভিডিও শেয়ার করার ঘটনায় কলাপাড়ার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
কলাপাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. বদিউর রহমান বন্টিন বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত একজন আসামীকে নিয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও শেয়ার করে অন্যায় করেছেন। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ রাষ্ট্র বিরোধী কাজ করেছেন।’
এ নিয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. নাছির উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আমার ভুল হয়েছে। ধৃষ্টতা হয়েছে।’
খেপুপাড়া নেছারুদ্দিন ফাজিল মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সাংসদ মো. মহিব্বুর রহমান বলেন, ‘এ নিয়ে ব্যবস্থাপনা কমিটির একটি সভা ডাকা হয়েছে। সে যে কাজ করেছে, তা তিনি করতে পারেন না। অবশ্যই তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’
Leave a Reply