সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৩ অপরাহ্ন
আমতলী প্রতিনিধিঃ
ঘুর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে উপকুলীয় অঞ্চল আমতলী-তালতলীতে মঙ্গলবার বিকেল চারটা থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এতে উপকুলের মানুষের মাঝে ঘুর্ণিঝড় আতঙ্ক বিরাজ করছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং করা হয়েছে।
আমতলী ঘুর্ণিঝড় কর্মসূচী অফিস সুত্রে জানাগেছে, সুপার সাইক্লোণ আম্ফান পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬’শ ৬৫ কিলোমিটার দুরে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। উপকুলীয় অঞ্চল আমতলী ও তালতলীতে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর ও নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-১০ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছাস প্লাবিত হতে পারে। ঘুর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে মঙ্গলবার বিকেল চারটা থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আকাশ মেঘাছন্ন ও প্রচন্ড ভ্যাপসা গরম ও হালাকা বাতাস বইছে। বৃষ্টি শুরু হওয়ায় মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কিন্তু বিকেল ছয়টা পর্যন্ত কোন মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে যায়নি। উপজেলা প্রশাসন ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে রাখতে দুই উপজেলায় এক’শ ২৮ টি সাইক্লোণ সেল্টার প্রস্তুত রেখেছে। এরমধ্যে আমতলীতে ৮০ টি এবং তালতলীতে ৪৮টি। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচীর ২ হাজার ৫’শ সেচ্ছাসেবক। উপকুলের মানুষকে সচেতন ও নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে এবং সেচ্ছাসেবকরা কাজ শুরু করেছে।
সহকারী পরিচালক আমতলী ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী কর্মকর্তা কে এম মাহতাবুল বারী বলেন, ঘুর্ণিঝড় আম্ফান পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬’শ ৬৫ কিলোমিটার দুরে মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবেলায় সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং করা হয়েছে এবং সেচ্ছাসেবকরা কাজ করছে। তিনি আরো বলেন, একজন মানুষকে অনিরাপদ স্থানে থাকতে দেব না। সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনা হবে।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply