শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৫৪ অপরাহ্ন
বিশেষ আপন নিউজ, প্রতিবেদকঃ
কলাপাড়ায় ঘূর্নিঝড় আম্পানের তান্ডবে পৌরশহর সহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অন্তত: তিন শতাধিক ঘরবাড়ী বিধস্ত হয়েছে। এসময় সতর্কতা মূলক প্রচারনা চালাতে গিয়ে উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের ৭নং ইউনিটের ঘূর্নিঝড় প্রস্তুতি কমিটির ইউনিট টিম লিডার শাহআলম (৫০) নিখোঁজ হওয়ার পর সন্ধ্যায় ফাফেজ প্যাদার খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ধানখালী ইউনিয়নের পাঁচজুনিয়া গ্রামে গাছ চাপা পড়ে মাহবুবু (৩৫) নামের একজন আহত হয়েছে । তাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এদিকে ঘুর্নিঝড়ের প্রভাবে নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৭ থেকে ৮ ফুট বেশী পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ৯ শতাধিক মাছের ঘের ও পুুকুর থেকে কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। ক্ষতি হয়েছে বর্ষাকালীন সবজির ক্ষেত সহ বোরো ধানের। উপজেলার ১২ টি বৈদ্যুতিক খূঁটি উপড়ে গেছে। দু’শতাধিক স্পটে গাছ পড়ে বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে গেছে।
বঙ্গবন্ধু কলোনী এলাকার অধিবাসী মো. আলামিন জানান, তার ঘরে একটি গাছ পড়ে ঘরটি বিধ্বস্ত হয়েছে। তিনি মাত্র দু’মাস আগে কষ্ট ক্লেশ করে ঘরটি তুলেছিলেন ।
পৌরশহরের চিংগড়িয়া এলাকার অধিবাসী বিমল হাওলাদার জানান, তার পাশাপাশি দু’টি ঘর জুড়ে একটি গাছ পড়ে ঘরটি ভেঙ্গে যায় । তিনি সহ তার পরিবারের লোকজন রাত জেগে কাটিয়েছেন। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল অন্তত: ঘন্টায় ১৫০কিলোমিটার ।
বুধবার সন্ধ্যায় জোয়ারের পানি বেড়ে যাওয়ায় বেড়িঁ বাধের বাইরে অন্তত: দু’শতাধিক ঘরবাড়ী পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এসময় হাজার মানুষ আশে পাশের
সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে । অনেক মানুষ পানি বৃদ্ধির আশংকায় বহুতল ভবন কিংবা স্কুল কলেজে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে । তাদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, ঘূর্নিঝড় আম্পানের জন্য মোট ১৯৭ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করে রাখা হয়েছিল। তবে এলাকায় বাতাসের পাশাপাশি পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গাছপালা, ঘরবাড়ী সহ হাঁস-মুরগি গবাদি পশু ও মাছের ঘের’র ক্ষতি হয়েছে।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply