![](https://aponnewsbd.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
বাউফল প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফলে জোরপূবর্ক তোরণ নির্মাণে বাঁধা দেওয়ায় পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল গ্রুপের হামলায় যুবলীগ নেতা তাপস হত্যার প্রতিবাদ ও মেয়রসহ জড়িতদের ফাঁসির দাবী উত্তাল বাউফলের রাজপথ।
বুধবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার কালাইয়া বন্দরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে কালাইয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাসহ স্থানীয় জনগণ।
বিক্ষোভ মিছিলটি বন্দরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বড়পুকুর পাড়ে এসে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।
বিক্ষোভ চলাকালে নেতাকর্মীরা মেয়র সহ জড়িতদের ফাঁসি দাবী করে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
সমাবেশে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসি দাবী করে বক্তব্য রাখেন, বাউফল উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মোসারেফ হোসেন খাঁন, বাউফল উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য হারুন অর রশিদ, বাউফল উপজেলা যুবলীগ সাধারন সম্পাদক ও কালাইয়া ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম ফয়সাল আহম্মেদ মনির মোল্লা। এস.এস ফয়সাল আহম্মেদ মনির মোল্লা বলেন,’ দীর্ঘবছর যাবৎ থানা সংলগ্ন ডাকবাংলোর সামনে সাবেক চীফ হুইপ আ.স.ম ফিরোজের পক্ষ থেকে উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগ বিভিন্ন রাজনীতিক সামাজিক ধর্মীয় শুভেচ্ছা বার্তা দিয়ে তোরণ নির্মাণ করে আসছে। সর্বশেষ গত রবিবার দুপুরে খুনি মেয়র জুয়েল করোনা প্রতিরোধ সচেতনতায় দিকনির্দেশনা মুলক তোরণ নির্মাণে পৌর মেয়র জুয়েল ও তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী বাঁধা দেয়। দলীয় নেতাকর্মীরা এসময় প্রতিবাদ করলে উপস্থিত মেয়রের নির্দেশে তাঁর সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা করে। এতে তাপসসহ প্রায় ১৫জন নেতাকর্মী আহত হয়। গুরুতর তাপস রাত সাড়ে আটটার দিকে বরিশালে মৃত্যুবরণ করেন।
ফয়সাল আহম্মেদ জড়িত মেয়র সহ জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবী করেন। এবং তাঁদের ফাঁসির দাবী করেন।
তিনি আরো বলেন, প্রশাসন যদি অনতিবিলম্বে মেয়রসহ জড়িতদের গ্রেপ্তার না করে তাহলে আগামীতে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
উল্লেখ্য, এঘটনায় নিহত তাপস দাসের বড় ভাই পঙ্কজ দাস বাদী হয়ে বাউফল থানা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় পৌর মেয়র জুয়েলসহ ২৫জনকে আসামী করা হয়।
নিহত তাপস দাস (২৯) কালাইয়া গ্রামের মৃত বদু দাসের ছেলে। সে কালাইয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও বর্তমান যুবলীগের সদস্য ছিলেন।
Leave a Reply