কলাপাড়ায় বরাদ্দকৃত আশ্রয়ন প্রকল্পের ১কোটি ১২লাখ টাকা লোপাটের তথ্য ফাঁস | আপন নিউজ

শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ১২:৪১ অপরাহ্ন

প্রধান সংবাদ
বাংলাদেশ অটোরিকশা শ্রমিক লীগ কলাপাড়া উপজেলা শাখার কমিটি অনুমোদন; রাহাত সভাপতি কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ০২ নং ওয়ার্ডের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ১ নং ওয়ার্ডের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত আমতলীতে সুবন্ধির বাঁধ লক্ষাধিক মানুষের মরণ ফাঁদ; কাটার দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল কলাপাড়ায় ধুলাসার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় দালালদের দাপটে অসহায় রোগী; ডায়াগনস্টিক ও ক্লিনিকের মালিকদের সতর্ক কলাপাড়ার টিয়াখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট; এবার পর্নোগ্রাফী আইনে মামলা দায়ের আমতলীতে যৌ’তু’ক দিতে অস্বীকার করায় স্ত্রীকে পি’টি’য়ে জ’খ’ম আমতলীতে এক বছরের শিশু পানিতে ডু’বে মৃ-ত্যু
কলাপাড়ায় বরাদ্দকৃত আশ্রয়ন প্রকল্পের ১কোটি ১২লাখ টাকা লোপাটের তথ্য ফাঁস

কলাপাড়ায় বরাদ্দকৃত আশ্রয়ন প্রকল্পের ১কোটি ১২লাখ টাকা লোপাটের তথ্য ফাঁস

বিশেষ প্রতিবেদকঃ

কলাপাড়ায় আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের ১০টি কমিউনিটি সেন্টার ও ছয়টি ঘাটলা নির্মানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাদ্দকৃত এক কোটি ১১ লাখ ৭৫ হাজার তিন শ’ পয়ত্রিশ টাকা লোপাটের তথ্য ফাঁস হয়ে পড়ার পর ২১ জুলাই মঙ্গলবার সরকারী হিসাবে উক্ত অর্থ জমা দিয়েছে আলোচিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সারিকা ট্রেডার্স। তবে কোন কাজ না করে কিভাবে সরকারী বরাদ্দের বিপুল পরিমান এ অর্থ লোপাট করা হল সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন প্রশাসন। তথ্য নির্ভরযোগ্য সূত্রের।

এর আগে কোন কাজ না করেই জাল জালিয়াতি করে রাঙ্গাবালী উপজেলার মেসার্স সারিকা ট্রেডার্স ৭ এপ্রিল আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের বিপুল পরিমান এ সরকারি অর্থ হাতিয়ে নেয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির গলাচিপাস্থ সোনালী ব্যাংকের হিসাব নম্বরে (চলতি- ৪৩১০২০০০০১৫০৫) কলাপাড়া হিসাব রক্ষন অফিসের ব্যয় বরাদ্দ বিলের ভাউচারের মাধ্যমে এ টাকা হস্তান্তর হয়।

জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আশ্রয়ন-২ প্রকল্প তেজগাঁও ঢাকা এর স্মারক নম্বর-০৩.০২.০০০০.৭০১.০২.০৯৬.১৯.১৩১৪ তারিখঃ ৩১ ডিসেম্বর-২০১৯ চিঠিতে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে কমিউনিটি সেন্টার নির্মান ব্যয় নির্বাহের জন্য
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ করা হয়। যেখানে কলাপাড়ায় খাঁজুরা, চালিতাবুনিয়া, গোড়া আমখোলা, ছোট বালিয়াতলী, ফতেপুর, লক্ষ্মী বাজার, নিশানবাড়িয়া, গামুরবুনিয়া, নীলগঞ্জ ও নিজ শিববাড়িয়া আশ্রয়ন প্রকল্পের জন্য প্রত্যেকটি কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ ব্যয় বরাদ্দ দেয়া হয় নয় লাখ ৮০ হাজার ১১৩ টাকা। এছাড়া নিশানবাড়িয়া ও গামুরবুনিয়া আশ্রয়নপ্রকল্পের দু’টি ঘাটলা নির্মাণ ব্যয় চার লাখ ৫৮ হাজার ৮৩৫ টাকা।
নীলগঞ্জ ও গোড়াআমখোলা পাড়া আশ্রয়নের দু’টি ঘাটলা নির্মাণ ব্যয় চার লাখ ৫৮ হাজার ৮৩৫ টাকা এবং খাঁজুরা ও ফাসিপাড়া দু’টি ঘাটলা নির্মাণ ব্যয় বরাদ্দ দেয়া হয় চার লাখ ৫৮ হাজার ৮৩৫ টাকা। বাস্তবে এ ১০টি কমিউনিটি সেন্টার ও ছয়টি ঘাটলার কোন কাজ করা হয়নি। সেখানে সকল বিল বাবদ মোট এক কোটি ১১ লাখ ৭৫ হাজার তিন শ’ পয়ত্রিশ টাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সারিকা এন্টার প্রাইজ তুলে নিয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটির নামে যেসব চিঠি ইস্যু দেখানো হয়েছে তার সব মেমো উপজেলা ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রণালয়ের। কবে টেন্ডার দেয়া হয়েছে, কীভাবে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে এবং একইদিনে ব্যাংক হিসাব ব্যতিরেকে বিলের সমুদয় টাকা ঠিকাদারের হিসাবে সরাসরি গেল এ নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামে যেসব চিঠি ইস্যু দেখানো হয়েছে তার সব মেমো উপজেলা ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রণালয়ের। কবে টেন্ডার দেয়া হয়েছে, কীভাবে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে এবং একইদিনে ব্যাংক হিসাব ব্যতিরেকে বিলের সমুদয় টাকা ঠিকাদারের হিসাবে সরাসরি কিভাবে গেল এ নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে।

চম্পাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিন্টু তালুকদার এবং লতাচাপলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লা জানান, ’তাঁদের ইউনিয়নে কমিউনিটি সেন্টার ও ঘাটলার কাজ করার জন্য কোন বরাদ্দ আছে তাও জানা নেই। আর এ ধরনের কোন কাজ করা হয়নি।’

সদ্য বদলী হওয়া ইউএনও মো: মুনিবুর রহমান জানান, ’আমার যেসব সই দেখানো আছে তা জাল। আশ্রয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কোন চিঠিপত্র আমি কলাপাড়ায় থাকাকালীন রিসিভ করিনি। কাজকর্ম তো দুরের কথা। পূবালী ব্যাংকে যে একাউন্ট খোলা তার সম্পর্কে আমার কিছুই জানা নেই। আমার সকল স্বাক্ষর জাল করে হিসাব রক্ষণ অফিস থেকে কর্মস্থল ত্যাগের পনেরো দিন পরে সরাসরি ঠিকাদারের হিসাবে কীভাবে অর্থ ট্রান্সফার করা সম্ভব হলো, এটি আমার বোধগম্য নয়।’

কলাপাড়ার বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, ’বিষয়টি জেনে আমি মাঠ পর্যায়ে গিয়ে নিশ্চিত হয়েছি আশ্রয়ন প্রকল্পের কোন কাজ হয়নি। গোটা বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে।’ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তপন কুমার ঘোষ জানান, তিনিও বিষয়টি জেনে অবাক হয়েছেন। ওই ফাইলটিও তার অফিসে নেই। তার সই-স্বাক্ষরও জাল করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের ঠিকাদার মোঃ শামীম জানান, ’করোনার কারনে কোন কাজ করতে পারিনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কাজ সম্পন্ন করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এ নিয়ে প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়ায় প্রকল্পের বরাদ্দকৃত সমুদয় অর্থ মঙ্গলবার
সরকারী হিসাবে জমা করে দিয়েছি।’

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com

Design By JPHostBD
error: সাইটের কোন তথ্য কপি করা নিষেধ!!