শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৩৪ অপরাহ্ন
ইমাম হোসেন হিমেলঃ
কলাপাড়ার ডালবুগঞ্জে ইউনিয়ানের ৯ নং ওয়ার্ডের খাপড়াভাঙ্গা মোঃ খানজাহান আলীর ছেলে মোঃ দুলাল হাওলাদারের বিরুদ্ধে সাঁকো ফেলে সাতটি পরিবারকে পানিবন্দি করার অভিযোগ। এক কোড়ালিয়ার খালের ওপারে থাকা সাতটি পরিবারের এপারে উঠতে হয় সাঁকো দিয়ে ওপারে থাকা দুলালের সাথে ঝামেলা থাকায় সাঁকোটি ফেলে দেয় দুলাল এতে পানিবন্দি হয়ে পড়ে সাতটি পরিবার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় খাপড়াভাঙ্গা খালের ওপারে সাতটি পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিলো খালের বিতরে সাঁকো তৈরি করে এবং এটা দিয়েই বিলে যাতায়ত করতো কৃষকরা, আরো দুটো বাঁধ থাকলে ও সেই বাঁধ দিয়ে চলাচল করতে দিচ্ছিলোনা বাঁধ মালিক রা তাই নিরুপয় হয়ে এই একটি বাঁধ দিয়েই চলাচল করতে হতো সকলের কৃষকের, বিচ কিটনাশক কৃষকের সকাল দুপুরের ভাত সহ কৃষি সামগ্রী আনা নেওয়া হতো এপার থেকে ওপার। এই সাঁকোটি ফেলে দেওয়ার কারনে এখন তাদের দুবেলাই পানিতে ভিজে যেতে হয় এপার থেকে ওপারে, অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগার কারণে জ্বরসহ নিউমোনিয়া হওয়ায় ভয়ে আতঙ্ক থাকছেন ভুক্তভোগীরা।
খালের ওপারের বাসিন্দা রুহুল আমিন জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই পরিবার গুলো মিলে মিশে জীবন যাপন করছি আমাদের রাস্তায় উঠতে হলে এই সাঁকোটাই একমাত্র ভরসা এই সাঁকো ছারা সম্ভব নয়, আমাদের এই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে ওপারে দুলাল সহ কিছু লোক আমরা যেন রাস্তায় উঠতে না পাড়ি সেই জন্য আমাদের সাঁকো ফেলে দিয়ে আমাদের অহেতুক হয়রানী করছেন।
রুহল আমিন আরো বলেন, আমাদের এখানে সাতটি পরিবারের মোট সাতটি সন্তান স্কুলে মক্তবে পড়াশুনো করেন মাঝে মাঝে এই সাঁকো ফেলে দিয়ে আমাদের সন্তানের লেখাপড়া নস্ট করছেন তারা। এছাড়া ও আমাদের এখানে কোন টিউবয়েল না থাকায় ওপারে যেতে হয় পানি আনার জন্য সাঁকো ফেলে দিলে হয়ত ভিজে না হয় পানি না খেয়ে থাকতে হয় আমাদের।
আরেক ভুক্তভোগী মৃত্যু জালালের স্ত্রী মোসাম্মৎ ফাতেমা বেগম বলেন আমার স্বামী নেই দীর্ঘ ছয় বছর আগে আমার স্বামী মারা যায়। আমি এপারেই দুটি সন্তান নিয়ে বসবাস করি একটি ছেলে একটি মেয়ে বড় ছেলে চাপলি রেস্টুরেন্টে কাজ করে প্রতিদিন রাত এগারোটার সময় বাসায় ফিরে, কিন্ত এই সাঁকো না থাকার কারণে ভিজে আসতে হয় বাড়িতে, মেয়েটি ছোট তাই সবসময় টেনশনে কখন পানিতো পড়ে যায়।
এলাকার লোক জানান খালে কোন অবৈধ বাঁধ দেওয়া নিষেধ এটা আমরা সবাই জানি কিন্তু এই পরিবারটির কথা চিন্তা করে আমরা একটি বাঁধ তাদের জন্য দেই পানি নিষ্কাশনের জন্য বাঁধটি কেটে আমরা একটা সাঁকো দিয়ে দিই, কিন্তু অবৈধভাবে জাল ফেলার ও শত্রুতার কারণে সাঁকোটি ফেলে দিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা এইটুকু খালে তিনটি বাঁধ কৃষকের বীজতলা সব সময় ডুবে থাকে, কৃষি কর্মকর্তার কাছে দাবি আমাদের খালের এই বাঁধ কেটে দেওয়া হয় এই সাতটি পরিবারকে সাঁকো বা কালভার্ট তৈরি করে দিলে, আমাদের কৃষকের আর পানি আটকাবে না কোথাও।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত দুলাল হাওলাদার বলেন, আমি এ বিষয়ে সাংবাদিকদের তথ্য দিতে বাধ্যনই।
এবিষয়ে ইউপি সদস্য মোঃ রুহল আমিন হাওলাদার বলেন, এই সাঁকোর জের ধরে রুহল আমিন কে মারে দুলাল প্রাই একমাস জেল খেটে এসে দুলাল আবার বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
ওপারে থাকা সাতটি পরিবার খুব অসহয় আছে তাদের টিউবওয়েল নেই ভালো রাস্তা নেই এই পরিবার গুলো মানবেতর জীবন যাপন করছেন লেখাপড়ার সমস্যা হয় আমি চেষ্টা করছি একটা ভালো কার্লভাট অথবা একটা সাকু তৈরি করে দেওয়ার।
এ বিষয়টি কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে জানালে তিনি বলেন, ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ানের পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম শিকদারে সাথে কথা বলে দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করা হয়েছে।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply