শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:১৪ পূর্বাহ্ন
আপন নিউজ প্রতিবেদন, আমতলীঃ ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর রাতে ঘন্টায় ২১৫ কিলোমিটার গতির প্রলয়ঙ্কারী ঘুর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে লন্ডভন্ড করে দিয়েছিল দক্ষিণের জনপদ। আমতলী ও তালতলী উপজেলায় ২৯৭ জন মানুষের প্রানহানী হয়েছিল। নিখোজ রয়েছে ৪৯ জন। অগনিত গবাদিপশুর মৃত্যু হয়েছে। বাড়িঘর, ফসলী জমি, রাস্তাঘাট, ভেরীবাঁধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সুন্দরবনের গাছপালা ব্যাপক ক্ষতি হয়। সিডরের আজ ১৪ বছরেও উপকূল বাসীর মাঝে ফিরে আসেনি সচেতনতা। তারা এখনো বন্যা জলোচ্ছাস উপেক্ষা করে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করছেন। গত ১৪ বছরে সরকারের উদ্যোগে উপকুলীয় আমতলী-তালতলী উপজেলায় ৪৫ টি আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে কিন্তু তা অপ্রতুল। এদিকে ৪৫ পোল্ডারে ৩ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ সিডরে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ওই বাঁধের কাজ এখনো সমাপ্ত হয়নি। এতে হুমকির মধ্যে রয়েছে বাঁধ ভাঙ্গন করলিত জয়ালভাঙ্গা ও তেতুলবাড়িয়া এলাকার মানুষ। উপকুলের অর্ধ-লক্ষ মানুষ সাগর সংলগ্ন নিদ্রা, সখিনা, আশারচর, জয়ালভাঙ্গা ও ফকিরহাট জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করেন। তারা দ্রুত সাইক্লোণ সেল্টার নির্মাণ ও বাঁধ সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন।
সোনাকাটা ইউপি সদস্য আবদুস ছালাম হাওলাদার বলেন, সাগরে জেলেরা যুদ্ধ সংগ্রাম করে বেঁচে থাকে। সিডরের এতবড় আঘাতেও তাদের মাঝে সচেতনতা ফিরে আসেনি। তিনি আরো বলেন, বর্তমান মৌসুমে যে পরিমান জেলে আশারচরে অবস্থান করছে এখানে সেইরকম আশ্রয়কেন্দ্র নেই। জেলেদের নিরাপত্তার জন্য আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা প্রয়োজন।
তালতলী তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের মোঃ মহিবুল্লাহ গাজী ও আল আমিন বলেন, সিডরে বিধ্বস্থ তেতুলবাড়িয়া ও জয়ালভাঙ্গার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ এখনো নির্মাণ করা হয়নি। সামান্য বন্যা ও নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। গত ১৪ বছর ধরে হুমকির মুখে রয়েছে এলাকার মানুষ। দ্রুত বাধ নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন তারা।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার আলম বলেন, তেতুলবাড়িয়া ও জয়ালভাঙ্গা বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ দ্রুত নির্মাণ করা হবে।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply