
জুলহাস মোল্লাঃ
কলাপাড়ার চাকামইয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির কেরামত হাওলাদারের পক্ষে কাজ না করায় দিন-দিন নির্যাতন, লাঞ্ছিত, জখম, রক্তাক্ত ও মিথ্যা মামলার স্বীকার হচ্ছে একই ইউনিয়নের দারোগার তবক গ্রামের বশার হাওলাদের পরিবার।
এমন অভিযোগ তুলেছে তার পরিবার।
বশার হাওলাদারের বড় ভাই নেছার জানান, কয়েকদফায় আমার ভাই বশারকে বিভিন্ন ভভাবে হামলা জখম করার পর চাকামইয়ারর গাবরবুনিয়া গ্রামের ধানক্ষেত থেকে তালতলী কলারং গ্রামের নববধু চম্পার মৃত্যুদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত্যু চম্পার বাবা কলাপাড়া থানায় মামলা দায়ের করলে চাকামইয়া চেয়ারম্যান সুযোগ ও ক্ষমতার ব্যবহার করে মিথ্যা সাজিয়ে আমার ভাই বশারকে ৫নং আসামিতে অন্তভুক্ত করায়।
আমি গত শুক্রবার (২৪জানুয়ারী) কলাপাড়া সাংবাদিক ফোরামে এসব বিষয় ও চাকামইয়া চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্ম বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করি।
সংবাদ সম্মেলন করায় আরো ক্ষিপ্ত হয় আমাদের পরিবার উপর,বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে আমাদের পরিবারের উপর হুমকি দামকি দিচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় আমার চাচাতো ভাই পটুয়াখালী সরকারী কলেজের ছাত্র মোঃ জাকারিয়া হোসেন আবির রেহাই পাইনি চেয়ারম্যানের গুন্ডাবাহিনীর হাত থেকে।
৬ই জানুয়ারী রোজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় চাকামইয়া গামুরবুনিয়া কুট্রি হাওলাদার বাড়ীর সামনে চেয়ারম্যানের হুকুমে তার ছেলে হাসিব ও তার গুন্ডাবাহিনীরা দ্বারা আবির ও তার বন্ধু মাইনুল প্যাদাকে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে।
আবিরের বাবা রুহুল আমিন জানান,ঘটনার দিন আমার ছেলে কলেজ পড়ুয়া ছাত্র আবির ও তার বন্ধু মাইনুল প্যাদা কলাপাড়া শহর থেকে টাকা নিয়ে গ্রামের আসার সময় ঘটনাস্থানে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা চাকামইয়া চেয়ারম্যানের ছেলে হাসিব ও তার গুন্ডাবাহিনী ছেনা,চপাতী, হাতুরি লোহার রড হাতে নিয়ে পথ রোধ করিয়া চতুরদিক থেকে বেড় দেয়। আবির দৌড়ে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়, বাড়ি ঘর ভেঙ্গে দিবালোকে প্রকাশ্যে তার উপর হামলা চালায়। মাথায় কোপ দিয়ে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে পায়ের হাটুর বাটির উপর কোপ দিয়ে জখম করে। লোহার রড ও হাতুরি দিয়া চিরতরে পঙ্গুকরার উদ্দেশ্যে এলোপাথারী পিটাইয়া হাটুর বাটি ভাঙ্গিয়া দুই পায়ের টাকনু গিড়া ভাঙ্গিয়া গুড়ি করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। আর মাইনুল প্যাদাকে হাতুরি দিয়া এলোপাথারী ভাবে পিঠিয়ে জখম করে।
স্থানীয়রা উভয়কে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসলে, হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ জেএইচ খান লেলিন আবিরের অবস্থা অশংকাজনক দেখিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে রেফার করেন। তিনি বর্তমানে বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। আর মাইনুল প্যাদা কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়।
কলাপাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান, এঘটনায় কলাপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্ট চলছে বলে তিনি জানানিয়েছেন।
Leave a Reply