শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৭ অপরাহ্ন
আমতলী প্রতিনিধি।। বড় ভাই ৭৫ বছরের বৃদ্ধ ইসমাইল খাঁনকে ছোট ভাই স্কুল শিক্ষক মোঃ মেসবাহ উদ্দিন আনসার খাঁন (৫৮) ও তার ছেলে আসিফ রানা রাহাত (৩০) মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত বৃদ্ধ ও তার ছেলে ফেরদৌস খান কিসলুকে (৩২) স্বজনরা উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার পশ্চিম কেওয়াবুনিয়া গ্রামে সোমবার দুপুরে।
জানাগেছে, উপজেলার পশ্চিম কেওয়াবুনিয়া গ্রামের স্কুল শিক্ষক মেসবাহ উদ্দিন আনসার খাঁন বৃদ্ধ বড় ভাই ইসমাইল খাঁনকে পৈত্রিক সম্পত্তি বুঝিয়ে না দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বেশী ভোগদখল করে আসছে। এমন অভিযোগ বৃদ্ধ বড় ভাই ইসমাইল খাঁনের। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে গত ১০ বছর ধরে বিরোধ চলে আসছে। সোমবার দুপুরে স্থানীয়রা ওই জমির সীমানা নির্ধারণে কাজ করছিল। এমন সময় দুই ভাইয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় ছোট ভাই মোঃ মেসবাহ উদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে বড় ভাইকে মারধর শুরু করে। বাবাকে রক্ষায় ছেলে মোঃ ফেরদৌস খাঁন কিসলু এগিয়ে এলে তাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ছোট ভাই মেসবাহ উদ্দিন ও তার ছেলে আসিফ রানা রাহাত পালিয়ে যায়। দ্রুত স্বজনরা তাদের উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছোট ভাই মেজবাহ উদ্দিন আসনার খাঁন কেওয়াবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
প্রত্যক্ষদর্শী মান্নান বিশ্বাস, আব্দুল হক খাঁন, সেকান্দার প্যাদা ও হালিম মাদবর বলেন, জমির বিরোধ নিয়ে ছোট ভাই মেসবাহ উদ্দিন বৃদ্ধ বড় ভাই ইসমাইল খান ও তার ছেলেকে মারধর করেছে।
বৃদ্ধ ইসমাইল খাঁন কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, গত ১০ বছর ধরে ছোট ভাই স্কুল শিক্ষক মেসবাহ উদ্দিন বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি আমাকে বুঝিয়ে না নিয়ে প্রতারনায় আশ্রয় নিয়ে ঠকিয়ে আসছে। ওই জমির বুঝ চাইতে গিয়ে বেশ কয়েকবার লাঞ্ছিত হয়েছি। আজ আমাকে মেরেই ছাড়লো। তিনি আরো বলেন, ছোট ভাইকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ হিসিবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রতিদান পেলাম।
ছোট ভাই মেসবাহ উদ্দিন আনসার খাঁন মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, জমির সীমানা নির্ধারন করতে গিয়ে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে।
আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply