রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:১৫ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদকঃ
ঘের দখল করতে গিয়ে ৪০-৫০ সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখম করেছে ধুলাসার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান (৫৮), তার ছেলে নুরবাহাদুর (৩৫), জুয়েল রানা (৩২), সাইদুর রহমান সোহেল (৩০) ও মাহবুবুর রহমানের ভাই হেলাল উদ্দিনকে (৪২)।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮ টায় কাউয়ারচর গ্রামে এ সশস্ত্র হামলা-তান্ডব চালানো হয়েছে। সন্ত্রাসীরা আহতদের হাসপাতালে আসতে পর্যন্ত বাধা দিয়েছে। আহতদের মধ্যে নুরবাহাদুরের অবস্থা শঙ্কাজনক। তাকেসহ জুয়েল ও সোহেলকে দ্রুত বরিশাল পাঠানো হলে সেখান থেকে ঢাকায় নেয়া হয়েছে। হামলাকারীরা চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে। এতে কারও হাত, কারও পা, কারও চোখ মারাত্মকভাবে জখম হয়েছে।
সন্ত্রাসীরা মাছের ঘেরের ঘরটি ভেঙ্গে তছনছ করে দেয়। কলাপাড়া হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, আহতদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আধাঘন্টা পরে মহিপুর থানার এসআই মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছেন। এ ঘটনায় মহিপুর থানায় আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে সাবেক ছাত্রনেতা তরিকুল ইসলাম মৃধাকে প্রধান করে ২০ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক একটি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এ মামলাটি করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুর রহমান। পুলিশ তরিকুলের এক সহযোগী শাহীন মৃধাকে রাতে গ্রেফতার করেছে।
তরিকুল ইসলাম তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি জানান, মাছের ঘেরটি যে জমিতে তা মাহবুবুর রহমানের নয়। এটা স্থানীয় লোকজনের মালিকানাধীন জমি। তিনি হামলার সঙ্গে জড়িত নন।
মহিপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহবুবুল আলম জানান, ঘের দখলকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘের মালিক তার ভাই, ছেলেসহ লোকজন নিয়ে পানির সেচের কাজ করছিল। এ সময় পিএ তরিকুলের নেতৃত্বে তাদের কাজ করতে নিষেধ করা হয়। কাজ বন্ধ না করায় তাদের উপর হামলা করা হয়। এতে তিনজন আহত হয়েছে। এর মধ্যে নুর বাহাদুরকে বরিশাল শেবাচিমে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply