ভাল কাজের প্রলোভনে পড়ে ভারতে পাচারের শিকার ১০ বাংলাদেশী কিশোরী ও যুবতী বিভিন্ন মেয়াদে ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল।
সোমবার (২ মার্চ) সন্ধ্যায় বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
ফেরত আসা বাংলাদেশীরা হলো, মাগুরা জেলার রাজপাড়া’র বর্ষা, বাগেরহাটের স্বরনখোলা’র জান্নাতুল, ঢাকা জিগাতলার ফাতেমা, বরগনা’র মহাস্থানগড়ের রিতুপর্ণা, খুলনা দামদর এলাকার ঐশি, রাজিয়া সুলতানা, হোসনে আরা, হবিগঞ্জের দক্ষিণ বিজুরা’র তানজিলা, ঢাকা’র রেশমা ও বাগেরহাটের বারুইডাঙ্গা গ্রামের শরিফা খাতুন।
ফেরত জান্নাতুল জানান, ৪ মাস আগে বাবা মায়ের সাথে ভারতে ঘুরতে গিয়ে সে হারিয়ে যায়। পরে ভারতীয় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে তালাশ শেল্টার হোমে রাখেন। শরিফা খাতুন বলেন,ভাল কাজের প্রলোভন দেখিয়ে দালালদের খপ্পড়ে পড়ে তারা ভারতের মুম্বাইয়ের বিভিন্ন জেল হাজতে ২-৩ বছর সাজা ভোগ করেছেন।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব বলেন, ভালো কাজের আশায় তারা ভারতের অবৈধ ভাবে ভারতে যায়। সেখানে যেয়ে তারা সে দেশের পুলিশের কাছে ধরা পড়ে জেল হাজতে যায়। এরপর দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় আলোচনায় এক পর্যায়ে তারা বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যেমে দেশে ফেরত আসে।
বেনাপোল পোর্ট থানার এএসআই নাজমুল বলেন, ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম শেষে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। থানার কার্যক্রম শেষে তাদেরকে জাস্টিস কেয়ার ও রাইটস যশোর নামে দুটি এনজিও সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হবে।
জাস্টিস কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার এবিএম মুহিত বলেন, বিভিন্ন সময়ে নিকটতম আত্মীয়দের মাধ্যমে পাচার হয়ে এই দশটি মেয়ে ভারতের বিভিন্ন শেল্টার হোমে ছিল এর ভিতরে নবজীবন এ ৩ জন ও তালাশে ৭ জন ছিল। এদের ভিতর বেশির ভাগই কিশোরী যাদের বয়স ১৮ বছরের অনেক কম। বেশিরভাগ মেয়েদের বয়স ১২-১৫ বছরের ভেতর। অবশেষে দু’দেশের আলোচনার মাধ্যমে তারা নিজ দেশে ফিরে এসেছে। আমরা এদের পরিবারের সনাক্ত করতে পেরেছি। ইমিগ্রেশন ও থানা পুলিশের কার্যক্রম শেষে দ্রুত তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে পৌছে দেব। এছাড়াও যে সব পাচারকারীদের মাধ্যমে এরা পাচার হয়েছিল তাদেরকে যদি এরা মামলা করতে চাই তাহলে তাদেরকে আইনি সার্বিক সহযোগিতা করা হবে বলেও তিনি জানান।
Leave a Reply