জমির প্রকৃত রেকর্ডীয় মালিক হয়েও প্রতিপক্ষ কর্তৃক নানান হয়রানীর শিকার হয়ে প্রশাসনের সহযোগিতার জন্য সংবাদ সম্মেলন করেছেন মৎস্যবন্দর আলীপুরের বাসিন্দা মো. মতিউর রহমান। মঙ্গলবার দুপুরে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ’প্রায় ২০ বছর ধরে পূর্ব পুরুষগণ আলীপুর গ্রামের জমি ক্রয় করে চাষাবাদ এবং বাড়িঘর নির্মান করে ভোগদখল করে আসছি। এমনকি উক্ত জমি নামজারী, মিউটেশন হাল বিএস জড়িপেও রেডর্ক করাইয়া ভোগদখল করে আসছি। কিন্তু আলীপুরের জমির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় আঃ ছত্তার ফরাজী গং আমাদের জমি দখলের জন্য একাধিক দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলা কলাপাড়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, যুগ্ম জেলা জজ আদালত এবং সর্বশেষ মহামান্য হাইকোর্টের বিজ্ঞ বিচারক আমাদের পক্ষে রায় ঘোষণা করেন। এতে উক্ত আঃ ছত্তার ফরাজী এবং তার ভাই কালাম ফরাজী এবং ছত্তার ফরাজীর ছেলে নাসির উদ্দিন বিপ্লব বিভিন্ন সময় হয়রানী শুরু করে। জমির মালিক হয়ে জেলা, উপজেলা এবং বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের উক্ত জমি বেচা-বিক্রির অনুমতি নিয়ে আমাদের স্বজনরা জমি বিক্রির উদ্যোগ গ্রহন করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নাসির উদ্দিন বিপ্লব বিভিন্ন দপ্তরে দরখাস্ত দায়ের করে জমি বিক্রিতে বাঁধা দিতে না পারায় কলাপাড়া সাব-রেজিস্ট্রারকে বড় ধরনের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে দলিল রেজিস্ট্রি না করতে হমকি দেয় এবং বিভিন্ন আইনী ব্যাখ্যা দেয়। সাব রেজিস্ট্রার উভয় পক্ষের জমির মালিকানার কাগজ এবং আদালতের রায়ের কাগজ পত্র যাচাই বাছাই করে এবং আইনজীবীদের পরামর্শে দলিল রেজিস্ট্রি করে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আঃ ছত্তার ফরাজী গং আমাদের সামাজিক ভাবে খাটো করার জন্য গত ১৯ জুলাই মহিপুর প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে মিথ্যা তথ্য সাংবাদিকদের সরবরাহ করে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে আমাদের সন্মানের হানি ঘটিয়েছে। আমরা উক্ত সংবাদ সম্মেলনের তিব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। উক্ত আঃ ছত্তার ফরাজী একজন মুক্তি যোদ্ধা, তাকে সন্মান জানাই। তার ছেলে একজন সাংবাদিক তাকেও সন্মান দিয়ে আসছি। কিন্ত তারা আমাদের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার সড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকবেন তা সমুচিত না।’
এব্যাপারে আঃ ছত্তার ফরাজীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা কেরেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply