মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।। আমতলীর চালিতাবুনিয়া গ্রাম থেকে অপহৃতা দশম শ্রেনীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় অপহরণকারী নাঈম মুসুল্লীর বাবা দেলোয়ার মুসুল্লী ও তার মা মুনসুরা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার পুলিশ অপহৃতার ২২ ধারায় জবানবন্দি এবং দুই আসামীকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রেরন করেন। আদালতের বিচারক মোঃ সাকিব হোসেন অপহৃতার জবানবন্দি নেন।
জানাগেছে, উপজেলার আঙ্গুলকাটা গ্রামের মোঃ নিজাম ঘরামীর মাদ্রাসার দশম শ্রেনীতে পড়–য়া কন্যাকে গত ২৩ জুন চাওড়া চালিতাবুনিয়া গ্রামের দেলোয়ার মুসুল্লীর ছেলে নাঈম মুসুল্লী ও তার দুই সহযোগী অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় অপহৃতার বাবা নিজাম ঘরামী বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে নাঈম মুসুল্লীকে প্রধান আসামী করে তিন জনের নামে মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার রাতে ওই মামলায় আমতলী থানার এসআই জ্ঞান কুমার অপহরণকারী নাঈমের বাড়ীতে অভিযান চালায়। এ সময় ওই বাড়ী থেকে অপহৃতাকে উদ্ধার এবং অপহরণকারী নাঈমের বাবা আসামী মোঃ দেলোয়ার মুসুল্লী ও মা মুনসুরা বেগমকে গ্রেফতার করে। বুধবার পুলিশ অপহৃতা ও গ্রেফতারকৃত দুই আসামীকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে। আদালতের বিচারক মোঃ সাকিব হোসেন অপহৃতার ২২ ধারায় জবানবন্দি নেন। পরে পুলিশকে তার ডাক্তারী পরীক্ষার আদেশ দেন এবং একই সাথে আসামী দেলোয়ার মুসুল্লী ও মুনসুরা বেগমকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী নিজাম ঘরামী বলেন, আমার মাদ্রাসা পড়–য়া কন্যাকে বখাটে নাঈম ও তার সহযোগীরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। আমি অপহরণকারী নাঈম ও ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবী করছি।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, অপহৃতাকে উদ্ধার করে ২২ ধারার জবানবন্দির জন্য এবং দুই আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আদালতের নির্দেশমতে অপহৃতাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply