ব্রিজে বাঁশের সাঁকো দুর্ভোগে আমতলীর ৫০ হাজার মানুষ | আপন নিউজ

শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০১:১১ অপরাহ্ন

প্রধান সংবাদ
বাংলাদেশ অটোরিকশা শ্রমিক লীগ কলাপাড়া উপজেলা শাখার কমিটি অনুমোদন; রাহাত সভাপতি কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ০২ নং ওয়ার্ডের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ১ নং ওয়ার্ডের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত আমতলীতে সুবন্ধির বাঁধ লক্ষাধিক মানুষের মরণ ফাঁদ; কাটার দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল কলাপাড়ায় ধুলাসার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় দালালদের দাপটে অসহায় রোগী; ডায়াগনস্টিক ও ক্লিনিকের মালিকদের সতর্ক কলাপাড়ার টিয়াখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট; এবার পর্নোগ্রাফী আইনে মামলা দায়ের আমতলীতে যৌ’তু’ক দিতে অস্বীকার করায় স্ত্রীকে পি’টি’য়ে জ’খ’ম আমতলীতে এক বছরের শিশু পানিতে ডু’বে মৃ-ত্যু
ব্রিজে বাঁশের সাঁকো দুর্ভোগে আমতলীর ৫০ হাজার মানুষ

ব্রিজে বাঁশের সাঁকো দুর্ভোগে আমতলীর ৫০ হাজার মানুষ

আমতলী প্রতিনিধি।। আমড়াগাছিয়া বাজার সংলগ্ন ব্রিজে বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিন ইউনিয়নের ৫০ হাজার মানুষ চলাচল করছে।




জানাগেছে, ২০০৬ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ চাওড়া নদীতে আমড়াগাছিয়া বাজারের সংলগ্ন স্থানে আয়রণ ব্রিজ নির্মাণ করে। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করায় ব্রিজটি নড়বড়ে ছিল। নির্মাণের ১০ বছরের মাথায় ২০১৬ সালে ব্রিজটির মাঝখানের অংশ ভেঙ্গে পড়ে। ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়ায় চাওড়া, কুকুয়া এবং গুলিশাখালী ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে যায়। তাৎক্ষনিক ওই ব্রিজের ভাঙ্গা অংশ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ মেরামত করে। মেরামত করার পরে ওই ব্রিজ দিয়ে বড় যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করে দেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। কিন্তু প্রকৌশল বিভাগের নিষেধ উপক্ষো করে ট্রাক ও ট্রলির মালিকরা ওই ব্রিজ দিয়ে যানবাহন চলাচল করে। এতে ব্রীজ আরো নড়বড়ে হয়ে পড়ে। গত বছর ১০ জুন ইট বোঝাই ট্রলি পারাপারের সময় ব্রিজের মাঝের অংশ ভেঙ্গে ট্রলিটি নদীতে পড়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পরে তিন ইউনিয়নের অন্তত ৫০ হাজার মানুষ। ওই ব্রিজ পার হয়ে আমড়াগাছিয়া বাজার, গোজখালী বাজার, গুলিশাখালী বাজার, কলাগাছিয়া বাজার ও আমতলী উপজেলা শহরে কৃষি পন্য আনা নেয়া ও মানুষ যাতায়াত করতে হয়।

এছাড়া খেকুয়ানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, খেকুয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাইনবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গোজখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ ৭ টি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা ওই ব্রিজ দিয়ে চলাচল করে। ব্রিজটি ভেঙ্গে পরায় গুলিশাখালী, কুকুয়া ও চাওড়া ইউনিয়নের অন্তত ৫০ হাজার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং কৃষি পন্য আনা নেয়া বন্ধ হয়ে গেছে। ৮ কিলোমিটার পথ ঘুরে খেকুয়ানী ও গোজখালী ব্রিজ পার হয়ে মানুষ ও কৃষি পন্য নিয়ে উপজেল শহরে যেতে হয়। গত এক বছর ধরে ওই ব্রীজে স্থানীয়রা বাঁশের সাকো দিয়ে জীবনে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। দ্রুত ওইস্থানে গার্ডার ব্রীজ নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

আমড়াগাছিয়া বাজারের ব্যবসায়ী বাদল সরদার বলেন, গত পাঁচ বছরে ব্রিজটি দুইবার ভেঙ্গে পরেছে। ভাঙ্গা ব্রিজে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছি। তিনি আরো বলেন, ব্রিজটি ভেঙ্গে পরায় কৃষি পন্য বাজারে আসতে সমস্যা হচ্ছে।

ব্রিজ সংলগ্ন বাসিন্দা অটো চালক মোঃ মজিদ আকন বলেন, ব্রিজ ভেঙ্গে যাওয়ার খুবই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বাঁশের সাকো দিয়ে এতো বড় ব্রিজ পারাপার খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তিনি আরো বলেন, ৮ কিলোমিটার খেকুয়ানী ব্রিজ পাড় হয়ে উপজেলা শহরে যেতে হচ্ছে।

মোটরসাইকেল চালক রাসেল ইসলাম বলেন, ব্রিজটি সংস্কার না করায় ৮ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়।

গুলিশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এইচএম মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, ব্রিজে বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনটি ইউনিয়নের অন্তত ৫০ হাজার মানুষ পারাপার হচ্ছে। ওই স্থানে গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে অবহিত করেছি।

আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আল মামুন বলেন, ওইখানে গার্ডার ব্রীজ নির্মাণের প্রস্তাব স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় পাঠানো আছে। অনুমোদন হলে গার্ডার ব্রীজ নির্মাণ করা হবে।

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com

Design By JPHostBD
error: সাইটের কোন তথ্য কপি করা নিষেধ!!