রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০৪:২০ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্কঃ উপজেলা পরিষদের অধীনে ন্যস্ত সব দপ্তরের কার্যক্রম পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুমোদনক্রমে ও বিধি অনুসারে করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) নির্দেশনা দিয়ে ইতোপূর্বে যে সার্কুলার জারি করা হয়েছিল, সেটি অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন দপ্তরের কাগজপত্র ও নথি উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ইউএনওদের অনুমোদন নিতে হবে- এটিসহ এ সংক্রান্ত বিধি ও প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
এ জন্য আদেশের বিষয়টি উল্লেখ করে ইউএনওদের প্রতি সার্কুলার জারি করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতের রিটকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ ও ব্যারিস্টার হাসান এমএস আজিম।
পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, উপজেলা পরিষদ আইন ও এর অধীনে করা বিধিমালায় বলা আছে- উপজেলা পরিষদের অধীনে ন্যস্ত সব বিভাগের কার্যক্রম উপজেলা পরিষদের অনুমোদন নিয়ে ইউএনও’রা পরিচালনা করবেন।
এ বিষয়ে একাধিক সার্কুলারও জারি করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। কিন্তু ইউএনওরা সেটা না করে নিজেরাই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে উপজেলা পরিষদকে অবহিত করেন।
মনজিল মোরসেদ আরও বলেন, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা পরিচালিত হবে। কিন্তু ইউএনও’রা সেটা মানেন না, যা সংবিধান ও আইনের পরিপন্থী। এক্ষেত্রে আইনের ব্যত্যয় যাতে না ঘটে, সেজন্য হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়।
গত বছরের ৭ ডিসেম্বর উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা চ্যালেঞ্জ করে উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও দুমকি উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মনোহরদী উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খানসহ পাঁচজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হাইকোর্টে রিট আবেদনটি করেন।
ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ইউএনওদের সাচিবিক দায়িত্ব পালনের বিধান সংক্রান্ত উপজেলা পরিষদ আইনের ৩৩ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply