বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৫১ অপরাহ্ন
আপন নিউজ অফিস।। কলাপাড়ায় প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষক গাজী হারুন অর রশিদ ও সহকারী শিক্ষক মো: জাকির হোসেন’র বিরুদ্ধে ফৌজদারী অপরাধ সংক্রান্ত প্রমানের বিলোপ সাধন, প্রতারনা, আত্মসাত ও হুমকীর অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। উপজেলার ধূলাসার ইউনিয়নের নয়াকাটা গ্রামের মো: কামাল হোসেন’র নালিশী মামলা আমলে নিয়ে বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শোভন শাহরিয়ার’র আদালত এ আদেশ প্রদান করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১০৫ নং বৌলতলি সৈয়দপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী হারুন অর রশিদ প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ম্যানেজ করে গোপনে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ গঠনের উদ্দোগ নেন। এতে সংক্ষুব্ধ ছাত্র অভিভাবক মো: কামাল হোসেন ১১ নভেম্বর কলাপাড়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ১৬৯৮/২১ নম্বর দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালত প্রধান শিক্ষক সহ ১০জনকে ৭দিনের মধ্যে কারন দর্শানোর নির্দেশ দেন। এতে আসামীরা সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেনীর ছাত্র মো: শাকিল’র নাম লিপিবদ্ধকৃত ভর্তিরেজিষ্ট্রার ও হাজিরা খাতা নষ্ট করে নতুন ভর্তি রেজিষ্ট্রার ও হাজিরা খাতা সৃষ্টি করে। এবং শাকিল বিদ্যালয়ের ছাত্র নয় মর্মে আসামীরা কৌশলে শাকিলকে বিদ্যালয়ে নিয়া প্রাথমিকের বই রেখে দেয়ার চেষ্টা করে। বাদী এতে সংক্ষুব্দ হয়ে আসামীদের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে আসামীরা তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী সহ খুন জখমের হুমকী দেয়।
কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো: আনোয়ার হোসাইন আদালতের আদেশের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রধান শিক্ষক গাজী হারুন অর রশিদ জাল জালিয়াতি বাজ, প্রতারক, টাউট ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তার নামে একাধিক মামলা আছে।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply