শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০১:০০ পূর্বাহ্ন
এস এম আলমগীর হোসেন: অবৈধ যান ছয় চাকার ট্রলিতে ঝরে যাচ্ছে একের পর এক তাজা প্রাণ। সাধারন মানুষের মৃত্যুর পরেও টনক নড়ছে না প্রশাসনের।
প্রতিদিনই প্রশাসনের সামনেই অবৈধ এই গাড়ি গুলো চলাচল করছে। আর এই গাড়িগুলো যারা চালাচ্ছেন তাদের কোন প্রকারই ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই বলেও জানা গেছে। নেই কোন প্রশিক্ষণও। আবার কখনও কখনও দেখা যাচ্ছে ১২/১৪ বছরের কিশোররা এই গাড়ি গুলোকে ড্রাইভ করছেন।
শনিবার কলাপাড়া উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের মুসল্লিয়াবাদ নামক স্থানে অটো ও অবৈধ যান ছয় চাকার ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে মুক্তা বেগম (৪৮) ও তার ছেলে জিয়াদ (১০) নিহত হয়। এমন মৃত্যু কলাপাড়ায় ইতিহাস হয়ে থাকবে। বর্তমানে ওই দুর্ঘটনায় মুক্তা বেগমের মেয়ে মিম (১২), ছোট ছেলে জুনায়েদ (৭) মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তবে এ মৃত্যুর দায়ভার কে নেবে। কারা অবৈধ গাড়িগুলোকে সড়কে চলার বৈধতা দিচ্ছে। না কি এমনিতেই চলছে গাড়িগুলো।
এমন মৃত্যু আর দেখতে চাই না, তাই আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই কলাপাড়া পৌরসভা সহ জনপদে অবৈধ যান ছয় চাকার ট্রলি বন্ধ করা হোক এবং ওই পরিবারের আহত দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং দায়িত্ব সরকার যেন নেয়।
উল্লেখ্য, শনিবার দুপুরে মুক্তা বেগম তার মা, শাশুড়ি, দুই ছেলে ও এক মেয়ে কে নিয়ে চাপালীবাজার থেকে আত্মীয় বাড়ি থেকে অটোযোগে কলাপাড়ায় আসছিল, এসময় বালিয়াতলী ইউনিয়নের মুসল্লিয়াবাদ নামক স্থানে অটো ও অবৈধ যান ছয় চাকার ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে মুক্তা বেগম (৪৮) এর দুই পা বিচ্ছিন্ন, তার ছেলে জিয়াদ (১০) নিহত হন, এবং মেয়ে মিম (১২), ছোট ছেলে জুনায়েদ (৭) এরং জাহানারা বেগম (৬৫) গুরুতর আহত হন। এদের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে রেফার করেন। ওই রাতে মুক্তা বেগমকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়ার পথে মারা যান বলে জানা গেছে।
এদের বাড়ি উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের মরিচবুনিয়া গ্রামে।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply