বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন
আমতলী প্রতিনিধি: তালতলী উপজেলার কড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোঃ রেদওয়ান সরদারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আশরাফ সরদার হয়রানী করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউপি সদস্য রেদওয়ান সরদার সোমবার আমতলী সাংবাদিক ই্উনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন। দ্রুত এ মিথ্যা মামলা থেকে তার নাম প্রত্যাহারের দাবী জানান তিনি।
জানাগেছে, উপজেলার হেলে াবাড়িয়া গ্রামের ইউসুফ তালুকদার গত ৮০ বছর ধরে ১১ একর জমি ভোগদখল করে আসছে। ওই জমি আশরাফ আলী সরদার তার দাবী করে জমি চাষাবাদ বাঁধা দেয়। এ জমি নিয়ে ২০২০ সালের জানুয়ারী মাসে ইউসুফ তালুকদার বাদী হয়ে বরগুনা যুগ্ম জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আদালতের বিচারক স্থিতিবস্থায় থাকায় নির্দেশ দেন। কিন্তু আদালতের আদেশ অমান্য করে আশরাফ সরদার ও তার ছেলে কড়াইবাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল সরদার লোকজন নিয়ে শুক্রবার ওই জমি চাষ করতে যান। উপায় না পেয়ে মামলার বাদী ইউসুফ তালুকদার আদালতের আদেশ নিয়ে তালতলী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে থানার এসআই মোঃ রাকিব মিয়া এসে আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের জন্য উভয় পক্ষকে নির্দেশ দেন। কিন্তু পুলিশের আদেশ উপেক্ষা করে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল সরদার ও তার সহযোগীরা ইউসুফ তালুকদারের লোকজনের উপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় ১০ জন আহত করে। কিন্তু ছাত্রলীগ সভাপতি প্রভাব খাটিয়ে তার ভাই রিয়াজুল সরদারকে বাদী করে তালতলী থানায় ইউসুফ তালুকদারকে প্রধান আসামী করে ২১ জনের নামে মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় ইউপি সদস্য মোঃ রেদওয়ান সরদারকে ২ নম্বর আসামী করা হয়। এ ঘটনার সাথে ইউপি সদস্য মোঃ রেদওয়ান সরদারের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেন তিনি। দ্রæত এ মামলা থেকে তার নাম প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল সরদারের মুঠোফোনে (০১৭১৩৮২৯৯৬৪) যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
নারী ইউপি সদস্য মোসাঃ সাজেদা বেগম বলেন, ঘটনাস্থলে আমি উপস্থিত ছিলাম। ওইখানে ইউপি সদস্য রেদওয়ান সরদারের কোন সংশ্লিষ্টতাই ছিল না। হয়রানী করতেই রেদওয়ানকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।
তালতলী থানার এসআই মোঃ রাকিব মিয়া বলেন, আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে আমি ঘটনাস্থলে যাই। উভয় পক্ষকে আদালতের আদেশ মত শান্ত থাকতে বলি। কিন্তু ওই স্থানে ইউপি সদস্য রেদওয়ান সরদার উপস্থিত ছিল না এবং তার কোন সংশ্লিষ্টতা পাইনি।
তালতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোন ক্রমেই নির্দেশ ব্যাক্তিকে হয়রানী করা হবে না। তিনি আরো বলেন, তদন্তে ইউপি সদস্য রেদওয়ান সরদারের সংশ্লিষ্টতা না পাওয়া গেলে তাকে মামলা থেকে অব্যহতি দেয়া হবে।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply