শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩, ০৯:১০ পূর্বাহ্ন
আমতলী প্রতিনিধি: আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে পুনঃনির্বাচন আগামী ১৬ মার্চ। নির্বাচনী জোয়ারে কাপছে উপজেলার শহর থেকে প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চল। চায়ের দোকান থেকে সর্বত্র চলছে পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে আলোচনা-সমালোচনা। আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনয়ন পেতে উপজেলার নয়জন সম্ভাব্য প্রার্থী দলীয় কেন্দ্রিয় নেতাদের সাথে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
জানাগেছে, ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আলহাজ্ব গোলাম ছরোয়ার ফোরকান ঋণ খেলাপীর তথ্য গোপন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন এবং তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। ওই বছরের ২১ এপ্রিল ঋণখেলাপির তথ্য সংযোজন করে তার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী আলহাজ্ব সামসুদ্দিন আহম্মেদ ছজু বরগুনা যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালত ও নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানী শেষে ওই বছর ৩১ আগষ্ট আদালতের বিচারক মোঃ হাসানুল ইসলাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম ছরোয়ার ফোরকানকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যহতি দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে তফসিল ঘোষনা করে পুনঃ নির্বাচনের আদেশ দেন। গত ২৪ জানুয়ারী নির্বাচন কমিশন ১৬ মার্চ নির্বাচনের দিন ধায্য করে আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে পুনঃ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করেছেন। তফসিল ঘোষনার পরপর আমতলী উপজেলার সাধারণ মানুষ ও ভোটারদের মধ্যে নির্বাচনী হাওয়া বইছে। এ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনয়ন পেতে সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম ছরোয়ার ফোরকান, সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কাদের মিয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পদক জিএম ওসমানী হাসান, সদস্য শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও সাবেক কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগ নির্বাহী সংসদ সহ-সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান মিজান, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ মজিবুর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগ বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সামসুদ্দিন আহম্মেদ ছজু, সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী সামসুল হক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন খাঁন, গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব অ্যাড. নুরুল ইসলাম আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনয়ন পেতে দলের সর্বোচ্চ নেতাদের সাথে জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। এর নয়জন সম্ভাব্য প্রার্থীর মধ্যে গোলাম ছরোয়ার ফোরকান, সামসুদ্দিন আহম্মেদ ছজু, মিজানুর রহমান মিজান, জিএম ওসমানী হাসান ও মোয়াজ্জেম হোসেন খাঁন জনমানুষের কাছে আস্থার প্রতিক হিসেবে বিবেচিত।
উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম ছরোয়ার ফোরকান বলেন, দলীয় মনোনয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি। মনোনয়ন পেলে নির্বাচন করবো।
উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পদক জিএম ওসমানী হাসান বলেন, প্রায়াত বাবা জিএম দেলোয়ার হোসেন ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক এবং জনগণের অকৃতিম বন্ধু। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও বাবার প্রতি মানুষের ভালোবাসা ধরে রাখতে দলীয় মনোনয়ন চাইবো।
সদস্য শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও সাবেক কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগ নির্বাহী সংসদ সহ-সভাপতি ও মোঃ মিজানুর রহমান মিজান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আদর্শ বুকে ধারন করে ছাত্রলীগ থেকে রাজনীতির হাতে খড়ি। সকল চড়াই উৎড়াইতে দলের পাশে থেকে কাজ করছি। বাকী জীবনে কাজ করে যাব। কিন্তু রাজনৈতিক জীবনে দলের কাছে কিছুই চাইনি। এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চাইবো। মনোনয়ন পেলে অবশ্যই নির্বাচন কবরো।
উপজেলা আওয়ামীলীগ সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী সামসুল হক বলেন, সারা জীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া দল আওয়ামীলীগের রাজনীতি করেছি। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন খাঁন বলেন, এরশাদ বিরোধী আন্দোলন ও খালেদা জিয়ার দুঃশাসনসহ সকল আন্দোলন সংগ্রামে দলের সামনে থেকে কাজ করেছি। দীর্ঘ ৩০ বছরের রাজনীতির জীবনে অনেক ঘাত প্রতিঘাত সহ্য করেছি কিন্তু দল থেকে কিি ৎ বিচ্যুতি হয়নি। আশা করি কেন্দ্র আমার কাজের মুল্যায়ন করবে।
উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ মজিবুর রহমান বলেন,জনগনের পাশে থেকে রাজনীতি করছি। দলীয় মনোনয়ন চাইবো। উপজেলার জনগণ আমার পাশে আছেন।
উপজেলা আওয়ামীলীগ সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কাদের মিয়া বলেন, জীবনটাই কাটিয়ে দিয়েছি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মী হিসেবে। তার ডাকে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছি। এখনও নিরলসভাবে দলের হয়ে কাজ করছি। আশা করি দল আমাকে বি ত করবেন না।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply