শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন
আমতলী প্রতিনিধি: গৃহপরিচালিকার কাজ দেয়ার কথা বলে বরিশাল নিষিদ্ধ পল্লিতে এক যুবতীকে (১৭) বকুল মুন্সি ও তার মেয়ে মানসুরা বিক্রি করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতনের শিকার যুবতী এমন অভিযোগ করেছেন। ঘটনার ১২ পর বুধবার রাতে ওই যুবতীকে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করেছে। ওই রাতেই তাকে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে তালতলী উপজেলার হুলাটানা গ্রামে।
জানাগেছে, উপজেলার হুলাটানা গ্রামের দরিদ্র এক যুবতীকে গৃহপরিচালিকার কাজ দেয়ার কথা বলে গত ১০ ফেব্রæয়ারী একই গ্রামের বকুল মুন্সি ও তার মেয়ে মানসুরা বরিশাল নিয়ে যায়। সারাদিন রবিশাল শহরের ঘুড়িয়ে ওইদিন রাত ৯ টার দিকে যুবতীর চোখ বেঁধে একটি বাসায় রেখে তারা চলে আসে তারা। ওই স্থানে যুবতী ১২ দিন অবস্থান করছিল। যুবতীর অভিযোগ ওই বাসায় তাকে বিভিন্ন লোকজন দিয়ে যৌতচার করেছে। তাদের নির্যাতন সইতে না পেরে যুবতী বাড়ীর আসার জন্য কান্নাকাটি করে। ১২ দিন পরে বুধবার সন্ধ্যায় ওই বাসা থেকে যুবতীকে বকুল মুন্সী ও তার মেয়ে মানসুরা চোখ বেধে তাদের বাড়ীতে এনে আটকে রাখে। ওই রাতেই যুবতীর কান্নার শব্দ শুনতে পায় বকুল মুন্সির প্রতিবেশীরা। পরে তারা যুবতীর পরিবারকে খবর দেয়। যুবতীর পরিবারের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। ওইদিন দিবাগত রাত ১২ টার দিকে যুবতীকে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
যুবতীর মায়ের অভিযোগ মেয়েকে বকুল মুন্সী ও তার মেয়ে কাজ দেয়ার কথা বলে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে মেয়ের কোন খোজ খবর ছিল না।
যুবতী অভিযোগ করে বলেন, গৃহপরিচালিকার কাজ দেয়ার কথা বলে বকুল মুন্সি ও তার মেয়ে মানসুরা আমাকে বরিশাল নিয়ে যায়। ওইদিন রাতে আমার চোখ বেধে একটি বাসায় দিয়ে আসে। ওই বাসার বিভিন্ন লোকজন এসে আমার সাথে অসভ্যতামো করেছে। তিনি আরো বলেন, ওই বাসার কাউকে আমি চিনি না। আমি অনেক কান্নাকাটি করেছি কিন্তু কেউ আমার পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলতে দেয়নি। গত বুধবার রাতে মানসুরা ও তার বাবা গিয়ে আমার চোখ বেঁধে ওই বাসা থেকে নিয়ে আসে এবং তাদের বাড়ীতে আটকে রাখে।
বকুল মুন্সী নিষিদ্ধ পল্লীতে বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার মেয়ে মানসুরার সাথে একটু ঝামেলা হয়েছে।
তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আব্দুল্লাহ আল কাফি বলেন, যুবতীকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, যুবতীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
তালতলী থানার ওসি কাজী শাখাওয়াত হে সেন তপু বলেন, অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply