শনিবার, ০৩ Jun ২০২৩, ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন
বিশেষ আপন নিউজ প্রতিবেদকঃ
করোনা ভাইরাসের সংক্রমন এড়ানো সহ বিনা প্রয়োজনে মানুষকে ঘরের বাইরে নামা থেকে বিরত রাখতে এবার দক্ষিনাঞ্চলের সমুদ্র উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপকূলের হাট-বাজার গুলোতেও লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। বুধবার থেকেই এ লড ডাউন কার্যকর করা হয়েছে। মানুষকে যুক্তি সঙ্গত কারন ছাড়া বাড়ীর বাইরে বের না হওয়ার জন্য এখন গ্রামীন জনপদে মাইকিং করা হচ্ছে।
এর আগে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মতিউল ইসলাম চৌধুরীর বরাত দিয়ে শহর জুড়ে মাইকিং করে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হতে সৃষ্ট মহামারির ঝূঁকি মোকাবেলায় বুধবার থেকে সকল ধরনের অভ্যন্তরীন নৌযান, স্বল্প ও দুর পাল্লার গণপরিবহন এবং সকল প্রকার অটো রিক্সা, অটো বাইক, ইজিবাইক ইত্যাদি গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে মুদি, তরকারী, মাছ ও ঔষধের দোকান এ নির্দেশনার বাইরে থাকবে।
জানা যায়, জেলায় গত ৩ মাসে বিদেশ থেকে ৮ হাজার ৩৪৪ প্রবাসী দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে থাকা ২ হাজার ৫৬৭ জনের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা গেছে। বিদেশ ফেরত বাকী ৫ হাজার ৭৭৭ জনের অবস্থান সনাক্ত করে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে কাজ করছে প্রশাসন।
এছাড়া কলাপাড়ায় সৌদি আরব, বাহরাইন, মালয়েশিয়া, সুইডেন, মিশর, কাতার, ভারত, কুয়েত, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, সিঙ্গাপুর, নেদারল্যান্ডস থেকে ১৩৩ জন নাগরিক মার্চ মাস পর্যন্ত কলাপাড়ায় ফিরেছেন।
তন্মধ্যে ৮৭ জনের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার পর ৩৩ জন কোয়ারেন্টাইন মুক্ত হয়েছে।
জেলায় করোনা আক্রান্ত সন্দেহে পটুয়াখালী শহর ও সদর উপজেলার মৌকরণ থেকে যে দুই জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর এ প্রেরন করা হয়েছে বুধবার তাদের রিপোর্ট পাওয়া গেছে বলে পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম নিশ্চিত করেছেন। সিভিল সার্জন জানিয়েছেন প্রেরিত ওই দুই জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তাদের করোনা সংক্রমন হয়নি বলে জানান তিনি।
এদিকে বাউফলে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে এক যুবককে মঙ্গলবার রাতে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। ওই যুবককে চিকিৎসা দিতে যাওয়ায় বাউফল হাসপাতালের আরএমও, গাড়ীর ড্রাইভার সহ তিন জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। এছাড়া বাড়ীর সকল সদস্য হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকায় পটুয়াখালীতে ৩টি বাউফলে একটি বাড়ী লক ডাউন করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
কলাপাড়া ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, ’করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বুধবার থেকে শহর থেকে প্রত্যন্ত জনপদের হাট-বাজার গুলোতেও লকডাউন এর আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এসময়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্যের দাম
যাতে কোন অসাধু ব্যবসায়ী বাড়াতে না পারে সেবিষয়েও প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।’
ইউএনও আরও বলেন, ’কলাপাড়ায় বর্তমানে ৫৪জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে।’
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কলাপাড়ার উপকূলে কিংবা উপকূলীয় পটুয়াখালী জেলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমের কোন খবর জানা যায়নি।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply