বৃহস্পতিবার, ০১ Jun ২০২৩, ০২:৪৯ অপরাহ্ন
পটুয়াখালীঃ
পটুয়াখালীতে জ¦র-সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত দুই মৃত
ব্যক্তির বসতঘর লকডাউন করেছে প্রশাসন। আজ রবিবার দুপুর ১২টায় পৌর সভার টাউন কালিকাপুর এলাকা ও বহালগাছিয়া এলাকার দুইটি বাড়ি লাল পতাকা উড়িয়ে লকডাউন ঘোষণা করে এলাকাবাসীকে সতর্ক করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লতিফা জান্নাতি। তবে ওই পরিবার গুলোকে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেছে জেলা প্রশাসন।
শনিবার রাতে এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে স্বাস্থ্য কর্মীরা গিয়ে মরদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করার পর আইডিসিআর এ পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডা. মো. জাহাঙ্গির আলম। এ ঘটনায় টাউন কালিকাপুর এলাকার মাতবর বাড়ী সহ এর পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের মধ্যে করোনা আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
নিহত আব্দুর রশিদ ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রোমের মৃত কেরামত আলীর ছেলে। পৌর সভার টাউন কালিকাপুর এলাকার মাতবর বাড়ী সংলগ্ন তার মেয়ের বাড়ীতে সম্প্রতি বেড়াতে এসেছিলেন রশিদ। এছাড়া জাকির হোসেন শহরের বহালগাছিয়া এলাকার নাগরিক।
অপরদিকে সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সদর উপজেলার টাউন বহালগাছিয়া এলাকার মোঃ জাকির হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে শনিবার শেষ বিকালে পটুয়াখালীর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তির পর রাতে সে মারা যায়। যে কারণে তার বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে।
বরিশাল মেডিকেলের পরিচালক ডাঃ মোঃ বাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তিনি শ্বাস কষ্ট, জ্বর ও সর্দিকাশি নিয়ে বরিশাল ভর্তি হয়েছিল। তবে তার
মৃত্যু করোনায় কিনা সেটা বলা যাচ্ছেনা কারণ বরিশালে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার কোন ব্যবস্থা নাই।
পটুয়াখালী সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, পটুয়াখালীতে গত ২৪ ঘন্টায় ২১ জন সহ মোট ৭০২ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তন্মধ্যে ৩৮৪ জনের কোয়ারেন্টিন শেষে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। জেলায় এখনও ৩১৮ জন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। এছাড়া আইইডিসিআর এ ইতোপূর্বে প্রেরিত দু’জনের নমুনার রেজাল্টে নেগেটিভ এসেছে। শনিবার রাতে অপর একটি নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর এ প্রেরন করা হয়েছে।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply