আপন নিউজ রিপোর্টঃ
কলাপাড়ার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের ০৪ নং ওয়ার্ডে নিজ বেতন টাকায় খাদ্য সামগ্রী নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নামে দুস্থদের পাশে দাঁড়ালেন সরকারি মোজাহারউদ্দিন বিশ্বাস কলেজের শিক্ষক মো. আবু ইউসুফ।।
করোনা প্রতিরোধে কর্মবিমূখ হয়ে পড়া দিন এনে দিন খাওয়া মানুষগুলো মহা বিপদে। সাধ্যানুযায়ী ক্ষুধার্ত এই হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো কর্তব্য।
পবিত্র এ রমজান মাসে নিম্ন আয়ের বিপদগ্রস্ত না খেয়ে থাকা দুস্থ পরিবারের মাঝে শেখ হাসিনার নামে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন কলাপাড়া উপজেলার মোজাহারউদ্দিন বিশ্বাস কলেজের প্রভাষক মো. আবু ইউসুফ।
রবিবার (১০ মে ) সকালে উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের আলীগঞ্জ গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে তিনি চাল, ডাল, তেল, আলু ও সাবান সম্বলিত এ সহায়তা পৌঁছে দেন।
কলেজ শিক্ষক মো. আবু ইউসুফ বলেন, কর্মহীন বেকার ছিলাম জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বামলে যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছি। আজ তাঁর পাশে সাধ্যানুযায়ী দাড়াতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশের সকল ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলা করে দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।
কলেজ শিক্ষক আরও বলেন, এই মহামারি করোনায় জনজীবন বিপর্যয়ে মুহুর্তে আমার নিজ চাকরির বেতনের টাকা দিয়ে অসহায় হতদরিদ্র মানুষের জন্য খাদ্যসামগ্রী নিয়ে তাদের পাশে দাড়াতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। বর্তমানে এ উপজেলা লকডাউন থাকায় হত দরিদ্র মানুষের মধ্যে প্রচুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ মানুষ না খেয়ে থাকছে এবং খাবারের হাহাকার পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় সকল বিত্তবানদের গরীব মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়ানোর সদয় আহব্বান জানান। বিত্তবানদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন বেঁচে থাকলে আপনারা অনেক উপার্জন করতে পারবেন কিন্তু কাউকে দান করার সুযোগ সব সময় পাবেন না। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে জিততে হলে কর্মবিমুখ অসহায় গরীবদের খাদ্য সহযোগিতা দিয়ে বাঁচাতে হবে। তিনি বলেন ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে সেদিন হাজার হাজার মানুষ বঙ্গবন্ধুর ডাকে রাস্তায় বেড়িয়ে এসেছে, সেই যুদ্ধে আমরা বাঙালি জাতি জয়ী হয়েছি। বর্তমানে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন এ যুদ্ধেও আমরা জয় লাভ করবো ইনশা আল্লাহ্। যুদ্ধ করে বেঁচে থাকা বাঙালি জাতির পূর্ব ইতিহাস।
এই শিক্ষক মনে করেন, বিরাজমান পরিস্থিতি একা সরকারের পক্ষে সামাল দেয়া সম্ভব নয়। দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী মনে হয়, এ এক বড় পরিসরের দুর্যোগের পদধ্বনি। সবাই একতাবদ্ধ হয়ে এ যুদ্ধে জয়ী হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। মহামারি করোনার প্রতিরোধে এখনো কোন প্রতিষেধক আবিস্কার হয়নি তাই সরকারকে এ সময় সকলকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার পাশাপাশি ত্রাণ বিতরণ, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী মানুষের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাকে নিশ্চিত করতে হচ্ছে। এজন্য দেশের প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে শুরু করে রাজধানী পর্যন্ত বহুমাত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে সরকার। জনগণের ভয়ে পাওয়ার কোন কারণ নেই এ বিশাল কর্মযজ্ঞের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্বয়ং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি সবশেষে আপ্লুত কন্ঠে বলেন, মানুষ হয়ে অসহায় মানুষের পাশে না দাঁড়াতে পারলে মানুষ হয়ে জন্মানোটাই বৃথা।
উল্লেখ্য, তিনি এর আগে কলাপাড়ার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে নাচনাপাড়ায় হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন।
Leave a Reply