বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠুঃ
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মজিবুর রহমান হাওলাদার বলেছেন, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতসহ দক্ষিণাঞ্চলের নদী-খাল-জলাধার দখল দূষণ থেকে রক্ষা করতে হবে। কাউকে দখল করতে দেয়া হবে না। এখানে সরকারের বন্দরসহ মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নয়ন কর্মকান্ড চলছে। তবে এসব উন্নয়ন পরিকল্পিত উপায়ে। আইন-কানুন মেনে করতে হবে। হতে হবে এসব উন্নয়ন পরিবেশ বান্ধব, জনবান্ধব। নদীর দুই পাড়ে কোন স্থাপনা থাকতে পারবে না। নদীর পাড়ের ম্যানগ্রোভ বনা ল রক্ষা করতে হবে। নদীর পাঁড় আন্ধারমানিক, সোনাতলা কিংবা খাপড়াভাঙ্গা কোথাও দখল করে ইটভাঁটা থাকতে পারবে না। নদীর পানির প্রবাহমান রাখতে প্রয়োজনে নদী খনন করতে হবেভ তিনি আরও বলেন নদীর পাশের প্লাবনভূমি আরও বাড়াতে হবে। এক শ’ বছর আগে নদীর অবস্থান কোথায় ছিল তা চিহ্নিত করতে হবে। সিএস পর্চা অনুসারে নদী, খাল, জলাধার রক্ষা করতে হবে। প্রয়োজনে আজ, এই মুহুর্তে নদী-খাল দখল থেকে উদ্ধার করতে হবে। আজ সোমবার দুপুরে কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ দরবার হলে উপজেলা নদী রক্ষা কমিটির এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নদী কমিশনের চেয়ারম্যান আরও বলেন, নদী-খাল-জলাধার জনগণের প্রোপার্টি। জনগণ এর সুফল ভোগ করবে। এর আগে চেয়ারম্যানসহ তার সফরসঙ্গীগণ কুয়াকাটা সৈকত, খাপড়াভাঙ্গা, সোনাতলা ও আন্ধারমানিক নদী পাড় পরিদর্শন করেন। তিনি আইডব্লিউটিএর জমিতে তোলা স্থাপনা অপসারনের নির্দেশ দেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডেও সকল জমি উদ্ধারের নির্দেশ দেন। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম রাকিবুল আহসান, ইউএনও মো. মুনিবুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনুপ দাশ, প্রেসক্লাবের সভাপতি হুমায়ুন কবির, ইউপি চেয়ারম্যান এবিএম হুমায়ুন কবির, রিয়াজ তালুকদার বক্তব্য রাখেন। বক্তারা কলাপাড়া পৌরশহরের চিঙ্গুরিয়া খাল উদ্ধারে নদী কমিশনের চেয়ারম্যানের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Leave a Reply